চকরিয়ায় পর্যটকদের আস্থার স্থান "নিভৃতে নিসর্গ"

Posted on February 19, 2024

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: মাতামুহুরী নদীর কূল ঘেষে বেশ কয়েকটি সুউচ্চ পাহাড়। পাহাড়ের মাঝখানে মাটি কেটে সৃষ্টি করা হয়েছে লেক। এই লেকে রাখা হয়েছে ছোট ছোট বোট। রয়েছে কায়াকিংয়ের ব্যবস্থাও। নৌকায় করে শ্বেত পাথরে যাওয়ার জন্য রাখা হয়েছে ৮-১০টি নৌকা। এছাড়াও রয়েছে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা। বলছিলাম, কক্সবাজারের চকরিয়ার নদী ও পাহাড় বেষ্টিত ‘নিভৃত নিসর্গ’ পার্কের কথা। বর্তমানে বিপুল পর্যটক টানছে এই ‘নিভৃত নিসর্গ’ পার্কটি। ফলে পর্যটকদের আস্থার স্থান হচ্ছে "নিভৃতে নিসর্গ"।

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ছাড়াও নদী ও পাহাড় বেষ্টিত চকরিয়ার ‘নিভৃত নিসর্গ’ পার্কে দর্শনার্থীদের সমাগম থাকে লক্ষ্যনীয়।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার সুরাজপুর-মানকিপুর ইউপির মাতামুহুরী নদীর কূল ঘেষে বেশ কয়েকটি সুউচ্চ পাহাড় ও লেক নিয়ে ‘নিভৃত নিসর্গ’ পার্কের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। পরে তৎকালীন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামশুল তাবরীজ এই পার্ককে একটি বিনোদন স্পর্টে রুপান্তরিত করেন। এরপর থেকে এই পার্কে স্থানীয়রা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতে থাকে দর্শনার্থীরা। বর্তমানে পার্কটিকে আরো আধুনিকায়ন করতে কাজ করছেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম।

এছাড়াও ‘নিভৃত নিসর্গ’ এলাকায় দর্শনার্থীরা যাতে ভিন্ন রকমের বিনোদন পান সেজন্য বেশ কয়েকটি পাহাড়ের মাঝখানে মাটি কেটে লেক সৃষ্টি করা হয়েছে। এই লেকে রাখা হয়েছে ছোট ছোট বোট। কায়াকিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ‘নিভৃত নিসর্গ’ থেকে নৌকায় করে শ্বেত পাথরে যাওয়ার জন্য ৮-১০টি নৌকা রাখা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিনোদনপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ‘নিভৃত নিসর্গ’ পার্ক। শিশু-কিশোর এবং নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন এলাকায় থেকে আসা বিনোদনপ্রেমীদের আনাগোনা লক্ষ্যনীয় হয়ে উঠেছে পার্কটি। কেউ পুরো পরিবার নিয়ে নৌকায় চড়ে শ্বেত পাথর দেখার জন্য ছুটে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ কায়াকিং করছেন। আবার অনেকেই ব্যস্ত সেলফি ও ছবি তোলায়। এমনকি অনেকেই রাত্রিযাপনে তাবু জলসা করার জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে এসেছেন।

পার্কের নৌকা মাঝি হেলাল উদ্দিন বলেন, এখানে ৮-১০টি নৌকা রয়েছে। ‘নিভৃত নিসর্গ’ এলাকা থেকে শ্বেত পাথর যাওয়া-আসা আটশ টাকা করে নেয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে কায়াকিং। যা ঘণ্টায় দুইশ টাকা করে নেয়া হয়।

সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর সমাগম হচ্ছে এ পার্কে। তবে দুই ঈদ ও বিভিন্ন ছুটির সময় পর্যটকদের ভরপুর থাকে। পার্কে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রাথমিকভাবে কাজ করে থাকে গ্রামপুলিশরা। তবে পুলিশ মোতায়েন থাকলে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরো সহজ হতো।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন , চকরিয়া বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পর্ট রয়েছে। এসব স্পর্টগুলোতে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য কাজ করে থাকে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য কাজ করে থাকে থানা পুলিশও।