নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা অনু্প্রবেশ করতে পারবে না: বিজিবি ডিজি

Posted on February 15, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা অনু্প্রবেশ করতে পারবে না। সকল এজেন্সির সহায়তায় সমন্বিতভাবে আমরা সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখবো।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ বেসামরিক ৩৩০ জনকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছ হস্তান্তর শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিবি প্রধান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা যাতে নিশ্চিত থাকে সেজন্য বিজিবির প্রত্যেকটি সদস্য বদ্ধপরিকর। এতে আমরা পিছপা হবো না। নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা অনু্প্রবেশ করতে পারবে না। সকল এজেন্সির সহায়তায় সমন্বিতভাবে আমরা সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখবো।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, মিয়ানমারের একজন কর্নেলসহ ৫ সদস্যের একটি দল এখানে এসেছেন। তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে করে দুই দেশের সম্মতিক্রমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিককে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই দেশের পরষ্ট্রমন্ত্রণালয়, দূতাবাস আর আমাদের দেশের পররাষ্ট্রমণন্ত্রলায় দূতাবাস যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মতিতে এই প্রত্যবাসন সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, হাসপাতালসহ যারা সহযোগিতা করেছে সকলকে ধন্যবাদ। কিছুদিন আগে বলেছিলাম আমরা শিগগিরিই তাদের প্রত্যাবাসন করতে সক্ষম হবো অবশেষে তা সম্ভব হয়েছে।

যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাদের সঙ্গে থাকা অস্ত্রগুলো ফেরতের প্রক্রিয়া কী এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এটি একটি পৃথক প্রক্রিয়া। সে ব্যাপারে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখন আমরা আপতত ব্যক্তি প্রত্যবাসন নিয়ে কাজ করছি।

এসময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে, বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামসহ বিজিবি ও বিজিপির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দুপুর ১টা পর্যন্ত যাচাই-বাছাই শেষে ১৬৫ জনকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে পাঠানো হয় গভীর সমুদ্রে অপেক্ষায় থাকা মিয়ানমারের জাহাজে। বাকিদেরও বিকালের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে কড়া নিরাপত্তায় সেদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৩০২ জন, তাদের পরিবারের ৪ সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিক।