উল্লাপাড়ায় স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা

Posted on February 12, 2024

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গয়হাট্টা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম কে মারধর ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে স্কুল কমিটির সভাপতি ও তিন অভিভাবক সদস্য'র বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- ১. সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কোনাগাঁতী গয়হাট্রা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মোঃ আল আমিন সরকার (৪৫), ২. অভিভাবক সদস্য ও পারকুল গয়হাট্টা গ্রামের মীর মতিয়ার রহমান ছেলে মানিক উদ্দিন (৪০), ৩. একই গ্রামের আকবর সরকারের ছেলে আইনুল হক (৫২), ৪. গয়হাট্টা দহপাড়া গ্রামের ওছমান গণির ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪০)।

মামলার বাদী শহিদুল ইসলামের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উল্লেখিত অভিভাবক সদস্যরা যোগ সাজোস করে গত ২০২৩ সালের বিদ্যালয়ের পুকুর লীজের ৫ লক্ষ১০ হাজার টাকা, শিক্ষার্থী উপবৃত্তির ১ লক্ষ টাকা, গাছ বিক্রির ৪০ হাজার টাকা এবং পুরাতন আসবাবপত্র ও দ্রব্য সামগ্রী বিক্রির ৫০ হাজার টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করে।

আত্মসাতকৃত টাকার ভুয়া ভাউচার ও রেজুলেশনে জোরপূর্বক প্রধান শিক্ষকের (আমাকে দিয়ে) স্বাক্ষর করিয়া নিতে চায়। উক্ত ভাউচার ও রেজুলেশনে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করিলে ২৯ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে আসামিরা প্রধান শিক্ষক (আমার) কার্যালয়ে প্রবেশ করে।

এ সময় তারা অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে আমাকে অবরুদ্ধ অবস্থায় বিভিন্ন গালি- গালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে তারা আমার উপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি ও থাপ্পর মারে। এক পর্যায়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আমাকে বেদম মারপিট করে।

তিনি আরও জানান, ইতিপূর্বেও বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বৈধতা নিয়ে মতবিরোধ হলে সে থেকে আসামিরা আমাকে মারপিট করে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।

উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষকের অভিযোগটি মামলা হিসেবে আমলে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম চলছে।