বিনিয়োগের আগে জেনে নিন কে এন্ড কিউয়ের সম্পর্কে

Posted on February 12, 2024

রফিকুল ইসলাম (রাব্বি) : বিনিয়োগের আগে সংশ্রিষ্ট কোম্পানির সার্বিক অবস্থা জেনে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে হবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ও আনুপাতিক হার (পিও রেশিও)। একটি কোম্পানির পিও রেশিও যত কম হবে বিনিয়োগের জন্য কোম্পানিটি তত উত্তম। সাধারণত ৪০ পর্যন্ত পিও রেশিও স্বাভাবিক ধরা হয়। এর উপরে গেলে অবস্যই সেটি ঝুঁকিপূর্ণ। পিও রেশিও থেকে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিট সম্পদমূল্য (এনএভি), এটা যত বেশি বিনিযোগের জন্য ততই উত্তম।

পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২০২৩ সালে হয়েছে ০ টাকা ৩২ পয়সা যা ২০২২ সালে ছিল ০ টাকা ৫৯ পয়সা, ২০২১ সালে ০ টাকা ৯২ পয়সা, ২০২০ সালে ছিল ০ টাকা ৪৪ পয়সা ও ২০১৯ সালে ০ টাকা ৮৯ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএআই) তথ্য অনুযায়ী কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০২৩ সালে ৭৬ টাকা ৪৩ পয়সা, ২০২২ সালে ৭৫ টাকা ৬৪ পয়সা, ২০২১ সালে ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সা ও ২০২০ সালে ৭৬ টাকা ৮৯ পয়সা ও ২০১৯ সালে ছিল ৭৬ টাকা ৯৪ পয়সা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, বিগত ৪ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২৩ সালে ৩ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ৫ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ৪ শতাংশ নগদ, ২০১৯ সালে ৭.৫ শতাংশ নগদ ও ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ নদগ লভ্যাংশ দিয়েছে।

পর্যবেক্ষনে দেখা যায় কোম্পানিটি ১০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে তালিকভূক্ত হয়। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ৬ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৬৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩১ টাকা। তাদের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে রয়েছে ৪১.২১ শতাংশ শেয়ার, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৮.৬৬ শতাংশ শেয়ার এবং বাকি ৫০.১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

গত এক বছরে কোম্পানিটির দর উঠানামা হয়েছে ১৯৬.৩০ টাকা থেকে ২৮৬.৮০ টাকা। গত কাল দর উঠানামা হয়েছে ২৩৯.৬০ টাকা থেকে ২৬০.০০ টাকার মধ্যে। ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানি কে এন্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেড বর্তমানে বি ক্যাটাগরিতে অবস্থা করেছে। এই কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছে আব্দুর আউয়াল মিন্টু ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাবিখ আউয়াল।