এবার অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পাচ্ছে ‘পেয়ারার সুবাস’

Posted on February 12, 2024

বিনোদন ডেস্ক : গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের ২৭ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘পেয়ারার সুবাস’। এবার অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমাটি। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জয়া আহমেদ, আহমেদ রুবেল, তারিক আনাম খান অভিনীত এ ছবিটি চলবে দেশটিতে।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওজ সংবাদ বিজ্ঞতিতে জানায়, HOYTS (হয়টস্) Bankstown হলে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার দেখানো হবে Campbelltown এর Dumaresq (ডুমারেস্ক) Street Cinema তে। সময়সূচি পেতে ভিজিট করতে হবে বঙ্গজ ফিল্মস’র ওয়েবসাইট।

নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ৯২ মিনিটের এই ছবিতে আরো রয়েছেন সুষমা সরকার, দিহান, নূর ইমরান মিঠু সহ আরও অনেকেই। ছবি মুক্তির দুদিন আগে প্রিমিয়ারে আসার ঠিক আগে গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যান অভিনেতা আহমেদ রুবেল। পরে বেরসরকারি একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা করেন।

‘পেয়ারার সুবাস’ নির্মাণ সংস্থা জানিয়েছে, এই ছবিটি উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেলকেই!

গত বছর আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এর ৪৫ তম আসরের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে অফিসিয়াল সিলেকশন পেয়েছিল ‘পেয়ারার সুবাস’।

এই সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। নানা জটিলতা পেরিয়ে শুটিং শেষ হয় ২০২০ সালে। এরপর মুক্তির ক্ষেত্রেও দেখা দেয় নানা জটিলতা। সেসব পেরিয়ে অবশেষে গত শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে ওঠে ‘পেয়ারার সুবাস’।

দেশে মুক্তির কয়েকদিন আগে নির্মাতা নুরুল আলম আতিক গণমাধ্যমকে জানান, এই সিনেমাটি শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘সিনেমাটির বিষয়বস্তু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।’ যদিও সেই বিষয়বস্তুটা ঠিক কেমন, তা তিনি পরিষ্কার করেননি।

সিনেমা সম্পর্কে পরিচালক বলেন, ‘আমরা তো তেমন গন্ধের সিনেমা দেখি না। পেয়ারার সুবাসে ঘ্রাণ হলেও ট্রিগার পয়েন্ট। এটা শরীরের ঘ্রাণ। সুগন্ধ হতে পারে আবার দুর্গন্ধও হতে পারে। সুগন্ধের সঙ্গে প্রকৃতির একটি অদ্ভুত কারবার আছে। বিপরীত লিঙ্গের যাদের প্রাণ আছে, তারা ঘ্রাণ থেকে জোড়া বাঁধে। ‘পেয়ারার সুবাস’ ঘ্রাণ থেকে বিস্তৃতি লাভ করে। এ কারণে পেয়ারা নামের একটি মেয়ে ও গন্ধের তাড়নার জীবনে সম্পর্কগুলোর অবস্থান দেখানো হয়েছে এতে।’

জয়া আহসান অভিনয় করেছেন এ সিনেমার প্রধান চরিত্রে। তিনি বলেন, ‘এটা একটা দুর্ধর্ষ সিনেমা। আতিক যে বিষয়টি নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছে, এ ধরনের বিষয় সাধারণত কেউ স্পর্শ করে না। কেউ সাহস দেখায় না। আতিক সেই সাহস দেখিয়েছে।’