পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তাড়াশ বন বিভাগের কার্যালয়

Posted on February 11, 2024

সাব্বির মির্জা (তাড়াশ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৪২ বছর আগে নির্মাণ করা হয় উপজেলা বন বিভাগের অফিস ভবন। দীর্ঘদিনেও সংস্কার হয়নি ভবনটি। নতুন কোনো ভবনও নির্মাণ করা হয়নি। বন বিভাগের নির্ধারিত ভবনে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার কথা থাকলেও ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় উপজেলা বন কর্মকর্তা নিজ বাড়িতে কাগজপত্র রেখে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এদিকে জনবল সংকটের কারণে চারাবীজ উৎপাদন, চারা আবর্তন, বাগান কর্তনসহ অন্যান্য কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার তাড়াশ পৌর সদরে ১৯৮০ সালে নির্মিত আধা পাকা ভবনে সরকারি হাঁস-মুরগির খামার কার্যালয় করা হয়। পরে হাঁস-মুরগির খামারের কার্যক্রম বন্ধ হলে ওই ভবনেই উপজেলা বন বিভাগের অফিস স্থাপন করা হয়।

বন বিভাগের কার্যালয়টি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এক পাশে অল্প জায়গাজুড়ে বারান্দা থাকলেও ঘরের চালা নেই। ২০১৫ সালে ঝড়ে ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। টিনের চালা উড়ে যায়। জোড়াতালি টিনের চালা দিয়ে সাত বছর ধরে কার্যালয়ে কাজকর্ম চালিয়ে আসছেন বন কর্মকর্তা ও মালি। এরই মধ্যে টিনের চালা নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলে ভেতরে পানি পড়ে। ভবনের দেয়ালে বড় বড় ফাটল ধরেছে। ভেতরে নেই কোনো আসবাবপত্র। এদিকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষিত হলেও ওই কার্যালয়ে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, ৪২ বছর আগে নির্মাণ করা হয় উপজেলা বন বিভাগের অফিস ভবন। নির্মাণের পর আর কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। ফলে বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপায় না থাকায় বর্তমানে উপজেলা বন বিভাগের কাগজপত্র বাড়িতে রেখে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বার বার বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানোর পর দুই বছর আগে বন অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাতে বলে। সে প্রস্তাবও অধিদপ্তর বরাবর পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ভবন নির্মাণের কোনো অগ্রগতি হয়নি।

কর্মরত মালি জয়নুল আবেদীন জানান, ২০১৫ সালে কালবৈশাখীতে জরাজীর্ণ ভবনের চালা উড়ে যায়। ফাটল ধরে ভবনের দেয়ালে। আর ওই ঝড়ে একেবারেই পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে উপজেলা বন বিভাগের কার্যালয়টি।