সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের বাঁধভাঙা আনন্দের ঢেউ

Posted on February 10, 2024

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। প্রবা ফটো পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। প্রকৃতিতে বাজছে শীতের বিদায় ঘণ্টা, বসন্তের আগমন। প্রকৃতির এমন কোমল পরশ নিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে সৈকতের শহর কক্সবাজারে। ভরা পর্যটন মৌসুমের পাশাপাশি শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কক্সবাজার লাখো পর্যটকের পদচারণায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের নগরীতে পরিণত হয়েছে।

পর্যটকদের বাঁধভাঙা আনন্দের ঢেউ যেন আঁচড়ে পড়েছে বালিয়াড়ির সৈকতে। কানায় কানায় পূর্ণ সাগর তীর। খালি নেই সোয়া পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের কোনো কক্ষ। কাঙ্খিত সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

সাগরের নীল জলরাশি আর বালিয়াড়ির সৈকতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন হাজারো মানুষ। সৈকতজুড়ে বাঁধভেঙে পড়েছে পর্যটকদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের ঢেউ। নানা বয়সী পর্যটকের আনাগোনায় পুরো সৈকত যেন রূপ নিয়েছে জনসমুদ্রে।

পর্যটক মাহমুদ রফিক জানান, সমুদ্র তীরে শীতের আবহ আর নেই। নেই গরমের ভাবও। এ সময় সমুদ্র উপভোগ যেন ভিন্ন এক আনন্দের। পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ খুবই মজার হচ্ছে।

রাহেলা আনোয়ার নামের এক নারী পর্যটক জানান, সমুদ্র শান্ত। এখানে নোনাজলে শরীর ভেজা আর সৈকতে ঘুরা-ফেরা খুবই আনন্দের। তাই বারবার কক্সবাজার আসতে মন চাই।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতি সদস্য আব্দুর রহমান জানান, কক্সবাজার সৈকতের নিকটবর্তী সোয়া ৫ শতাধিক হোটেলে-মোটেলের কোনো কক্ষ খালি নেই। হোটেলের কক্ষ খালি না পেয়ে অনেকে ছুটছেন শহরের দিকে। শুক্রবার কক্সবাজারে অন্তত সোয়া লাখের বেশি পর্যটক সমাগম ঘটেছে। এতে সব ক’টি হোটেল-মোটেলের কক্ষ শতভাগ বুকিং রয়েছে। আগামী মার্চে রমজানের আগ পর্যন্ত পর্যটক আগমনের এ চিত্র অব্যাহত থাকবে।

সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলী জানান, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানিরোধে সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। পর্যটকের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে তারা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন শহরের বার্মিজ মার্কেট, নান্দনিক সৌন্দর্য্যের মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি ঝর্ণা, ইনানী ও পাথুয়ারটেকের পাথুরে সৈকত, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রামুর বৌদ্ধ বিহার, ডুলহাজারা সাফারী পার্ক এবং প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।