মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৬৩ জন

Posted on February 7, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৬৩ সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বিজিপির সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার বেলা ১২ টার দিকে হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বিজিপির এই ৬৩ সদস্য পালিয়ে আসে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি।

তিনি জানান, পালিয়ে আসা ব্যক্তিরা অস্ত্র জমা দিয়ে বিজিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদী হাসানও তাদের পালিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনাবাহিনীর সদস্য, কাস্টমস কর্মী ও আহত সাধারণ নাগরিক সহ পালিয়ে আসা ২৬৪ জন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।

বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিজিবির হেফাজতে থাকা ২৬৪ জনের মধ্যে ২২২ জন বিজিপি সসস্য, সেনা সদস্য ২ জন, সিআইডি সদস্য ৪ জন, স্থানীয় পুলিশ ৫ জন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের ৯ জন, ইমিগ্রেশন বিভাগের ২০ জন এবং বেসামরিক ২ জন রয়েছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় গোলাগুলির শব্দ কমেছে। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি শব্দ শোনা গেলেও অনেকটা বন্ধ রয়েছে বিস্ফোরণের শব্দ।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ বলা যায়। বিচ্ছিন্ন কিছু শব্দ শোনা গেলেও গোলাগুলির শব্দ আর নেই।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে বিদ্রোহী ও ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর মধ্যে লড়াই তীব্রতর হয়ে উঠেছে। একের পর এক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সামরিক বাহিনী। লড়াইয়ের আঁচ লাগছে সীমান্তের এপারে বাংলাদেশেও। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে মর্টারশেলের আঘাতে দুজন নিহত হওয়ার পর মঙ্গলবার উখিয়ায় আহত হয়েছেন সাতজন।

হতাহতের ঘটনার পর থেকেই সীমান্ত এলাকার মানুষ সরে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ের আশায়। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছেন মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যরা। এ অবস্থায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সতর্ক করে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার।