একজন রোহিঙ্গাকেও ঢুকতে দেবো না: বিজিবির নতুন ডিজি

Posted on February 6, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: আর কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

নতুন ডিজি বলেন, ‘সোমবার দুপুরে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার ইস্যু নিয়েই কাজ করছি। আগামীকাল সীমান্ত পরিদর্শনে যাবো। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মানবিক দিক থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আজ সকালে ৬৫ জন রোহিঙ্গা নৌকায় বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। সেখানে টেকনাফ বিজিবি তাদের প্রতিহত করে পুশব্যাক করার কার্যক্রম চলমান। কোনোভাবেই একজন রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশের ভেতরে আমরা ঢুকতে দেবো না।

নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আজ দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপি, সেনাসহ অন্য বাহিনীর ২৬৪ জন এসেছেন। ২৬৪ জনকেই আশ্রয় দেওয়া হয়েছে; তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৫ জন আহত ছিল। আটজন ছিল গুরুতর আহত, তাদের মধ্যে চারজনকে কক্সবাজার ও চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

‘আমরা ধৈর্য ধারণ করে আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রীও ধৈর্য ধারণের নির্দেশনা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এ পর্যন্ত ২৬৪ জনকে আশ্রয় দেয়া আছে। এদের মধ্যে আহত আটজনকে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় থাকায় চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলেও জানান মহাপরিচালক।

সোমবার মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে বিজিবির ডিজি বলেন, মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা প্রটেস্ট নোট দিয়েছি। আজ সকালে মিয়ানমারের ডিএ আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ অবস্থার আশু সমাধানের চেষ্টা করছি।

আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, ৬৫ জন রোহিঙ্গা নৌকায় করে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না।