বিজিবিকে সব সহযোগিতা দিচ্ছে পুলিশ: আইজিপি

Posted on February 6, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সসব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে গুরুতর আহত রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্য রাজ্জাককে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ভারতে উন্নত চিকিৎসা শেষে রাজ্জাককে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আইজিপি বলেন, দেশের প্রয়োজনে যেকোনো কাজে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও অন্য সদস্যদের সঙ্গে আমরাও কাজ করে যাবো। সীমান্তে আমাদের পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিজিবি যে সহযোগিতাই চাইছে আমরা দিচ্ছি।

‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের সদস্যরা মোটিভেটেড। তারা যেকোনো দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত,’ যোগ করেন তিনি।

ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে আছে, সীমান্ত এলাকায় পুলিশ কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, এখন পর্যন্ত আহত হয়ে যারা আমাদের দেশে এসেছেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকার করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসন সবাই মিলে সরকারের নির্দেশনার আলোকে দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য প্রস্তুত আছে দেশের প্রয়োজনে দায়িত্ব পালনের জন্য।

সীমান্ত এলাকায় মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছে, এখন তারা কাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে? জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, কে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে তা এখনো সুনিশ্চিত না। এ ঘটনায় আমরা একটা মামলা নিয়েছি। মামলার আসামি অজ্ঞাত। তদন্তে যাদের নাম আসবে পরবর্তী সময়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি কী নির্দেশনা আছে জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। জেলা পুলিশসহ এপিবিএন সতর্ক আছে। সীমান্তে বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। তাদের দায়িত্ব পালনে যে সহযোগিতা চাচ্ছে আমরা সে সহযোগিতা দিচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থা মিলে যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসব এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বৃদ্ধিসহ পেট্রোল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশসহ সব সংশ্লিষ্ট সংস্থা দায়িত্ব পালন করছে।

এসময় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।