টাকার বিনিময়ে জামায়াত-বিএনপি ও রাজাকার পরিবারের সদস্যদের ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার অভিযোগ

Posted on February 3, 2024

শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা : টাকার বিনিময়ে  জামায়াত, বিএনপি ও রাজাকার পরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে সাতক্ষীরার আনুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সৃষ্টি হয়েছে পদ বঞ্চিতের মাঝে দেখা দিয়েছে অনেকের সংশয়। 

গত ৩০ জানুয়ারি আশাশুনি উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাসেল হোসেন ও সাধারণ সাধারণ মো. মিঠুন ইসলাম সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্যাডে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ১ বছরের জন্য আনুলিয়া ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন দেন। একই সাথে ৩ মাসের মধ্যে  পূনাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এ দিকে আনুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে জামাত, বিএনপি ও রাজাকার পরিবারের সদস্যদের নাম থাকায় উক্ত কমিটি বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পদ বঞ্চিতরা।

মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জামাত, বিএনপি ও রাজাকার পরিবারের সদস্য ও বিবাহিতের দিয়ে কমিটির করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী। 

খোজ নিয়ে জানা যায়, নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরানের দাদা নূর বক্স সরদার নূরু এলাকার চিহ্নিত রাজাকার। 

নব নিবাচিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব এর বাবা শহীদুল ইসলাম খোকন ও ভাই শাহিন সরদার আশাশুনি থানার নাশকতা ১৭৬/২৩ নং মামলার ১ ও ২ নং আসামি।

এবং সভাপতি ইফতেখার আহমেদ বিবাহিত। দুই বছর আগে তিনি বিছট গ্রামে শিমুলের মেয়ে সাথে বিয়ে করে পরে তাদের মধ্যে তালাকের মাধ্যমে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এ ছাড়া তিনি আনুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন এর ভাগ্নে। 

তাছাড়া নবনির্বাচিত কমিটির আরও কয়েকজন সদস্যের জামাত শিবির ব পরিবারের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানা গেছে। 

আনুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, সভাপতি পদে ৯ টি সিভি জমা পড়েছিলো তাদের কারও না দিয়ে রাজাকার পরিবারের সদস্যকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে। 

আনুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন জানান, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জামায়াত, বিএনপি ও রাজাকার পরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে সাতক্ষীরার আনুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে যাদেরকে কমিটিতে নেওয়া হয়েছে তাদের কোন কার্যক্রমে পূর্বে দেখা যায়নি।  

নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরানের দাদা নূর বক্স সরদার নূরু এলাকার চিহ্নিত রাজাকার তার নাম এনএসআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 

নব নিবাচিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব এর বাবা শহীদুল ইসলাম খোকন ও ভাই শাহিন সরদার আশাশুনি থানার নাশকতা ১৭৬/২৩ নং মামলার ১ ও ২ নং আসামী। এবং যাকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়ছে তিনি আনুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন এর ভাগ্নে। সভাপতি পূর্বে বিবাহিত ছিলেন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সভাপতি করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাসেল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠুন ইসলাম। 

এ বিষয়ে টাকায় বিনিময়ে কমিটিতে রাজাকার পরিবারের সদস্য ও বিবাহিতদের দিয়ে কমিটি গঠনের বিষয়ে আশাশুনি উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাসেল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেনে এগুলো মিথ্যা। তিনি আরও জানান, অনেক গুলো সিভি জমা পড়েছিলো তার অনেকেই বিতর্কিত অনেকের বিরুদ্ধে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকায় অনেকে কমিটিতে সুযোগ পায়নি।  আমরা যাচাই-বাছাই করে ১১ জনের একটি কমিটির গঠন করে দিয়েছি। 

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম আশিকুর রহমান জানান, কমিটির বিষয়ে আমি জেনেছি বর্তমানে যাকে সভাপতি করা হয়েছে তাকে আমি ১০ বছর ধরে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। বাকি যে দু জন সাধারণ সম্পাদক ও যূগ্ন সম্পাদক এর বিরুদ্ধে জামাত বিএনপির রাজাকার পরিবারের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে বলা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ইতিমধ্যে খোজ খবর নিচ্ছি। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।