বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব কাল শুরু

Posted on February 1, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার; এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। মাওলানা জোবায়ের পক্ষের অনুসারীরা এরইমধ্যে ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কাজ শুরু হবে।

গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ তীরে তাবলীগ জামাতের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সম্মিলনের এ আয়োজন আগের বারের মতোই হবে দুই পর্বে। প্রথম পর্ব ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি; দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।

প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের অনুসারীরা এবং দ্বিতীয় পর্বে সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নিচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রথম পর্বে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে জেলাওয়ারি নির্দিষ্ট খিত্তা অনুসারে অবস্থান নিয়েছেন। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ময়দানের পশ্চিমাংশে টিনের ছাউনিযুক্ত বিশেষ কামরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে। ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সড়ক-মহাসড়কে যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও হাসপাতালের অতিরিক্ত বেড ও পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স।

ইজতেমায় আসা-যাওয়ার জন্য পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে। র‍্যাবের পক্ষ থেকে আকাশে হেলিকপ্টার টহল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা ও সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে সবার গতিবিধি।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে বিভিন্ন দেশের অতিথিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জমায়েত করবেন। বিপুল সংখ্যক মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে নির্দেশনা মানার অনুরোধ করেছে।

গাড়ি পার্কিং
ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যানবাহন বিভাগ অনুযায়ী যথাযথভাবে পার্কিং করতে বলেছে পুলিশ।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং: উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫ নম্বর ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নম্বর সেক্টর উলুদাহ মাঠ।
সিলেট ও খুলনা বিভাগ পার্কিং: উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর লেকপাড় মাঠ।
রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং: ১০ নম্বর ব্রিজ, ১১নম্বর ব্রিজ লেকের পশ্চিম পাশে, ১৬ নম্বর সেক্টরের ভেতরে ও বউবাজার মাঠ।
বরিশাল বিভাগ পার্কিং: ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
ঢাকা মহানগরী পার্কিং: ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গা।

ডাইভারশন
ডাইভারশন পয়েন্টগুলো (শুধু আখেরি মোনাজাতের দিন ৪ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা থেকে)

ডাইভারশন স্থান- ধউর ব্রিজ, ১৮ নম্বর সেক্টর পঞ্চবটী ক্রসিং, পদ্মা ইউলুপ, ১২ নম্বর সেক্টর খালপাড়, মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন ব্লু ক্রসিং, ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে (বিশ্বরোড নিকুঞ্জ-১ কেচি গেট), কুড়াতলী ফ্লাইওভার লুপ-২, মহাখালী ফ্লাইওভার পশ্চিম পাশে ও মিরপুর দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ক্রসিং।

বিশেষ নির্দেশনা
আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।

একইভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহনগুলো কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।

ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আসা যানবাহনগুলো কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ কেচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে।

আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আসা যানবাহনগুলো কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামী) ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না।

আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করেছে ডিএমপি।

উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চালকরা বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন।

ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তাদের তুরাগ নদীর ওপরে নির্মিত বেইলি ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন।

বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ-২ হতে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা দেওয়া হবে।

নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং বহনকারী যাত্রীরা ও চালক একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যেন বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়। গাড়ির সামনে ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকবে।

ইজতেমায় নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরি প্রয়োজনে যেসব নম্বরে যোগাযোগ করবেন-
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ: উপপুলিশ কমিশনার, উত্তরা-০১৩২০-০৪১৭৪০, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)-০১৩২০-০৪১৭৪১, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণখান)-০১৩২০-০৪১৭৪২, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তরা)-০১৩২০-০৪১৭৪৩, সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা)-০১৩২০-০৪১৭৫৪, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)-০১৩২০-০৪১৭৫৭, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন)-০১৩২০-০৪৩৯৫৫, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা পূর্ব থানা-০১৩২০-০৪১৭৮৯, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা, পশ্চিম থানা–০১৩২০-০৪১৮১৭, অফিসার ইনচার্জ-তুরাগ থানা-০১৩২০-০৪১৮৪৫, ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম-০১৭১১-০০০৯৯০।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ: উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)-০১৩২০-০৭০৩৩০, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)-০১৩২০-০৭০৬৪১, সহকারী পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন)-০১৩২০-০৭০৬৫৮, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পশ্চিম থানা-০১৩২০-০৭০৭৫১, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পশ্চিম থানা-০১৩২০-০৭০৭৫৯, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পূর্ব থানা-০১৩২০-০৭০৭২২, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পূর্ব থানা-০১৩২০-০৭০৭৩০, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পূর্ব থানা-০১৩২০-০৭০৭৩০, ইজতেমা কন্ট্রোল রুম (হটলাইন)-০১৩২০-০৭২৯৯৯, কন্ট্রোল রুম, জিএমপি-০১৩২০-০৭২৯৯৮, ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম-০১৩২০-০৭১২৯৮।

র‍্যাব: র‍্যাব-১ কন্ট্রোল রুম-০১৭৭৭৭১০১৯৯, র‍্যাব হেডকোয়ার্টার্স কন্ট্রোল রুম-০১৭৭৭৭২০০২৯ এবং প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯।

মুসল্লিদের অবস্থান
গাজীপুর (খিত্তা-১), টঙ্গী (খিত্তা-২, ৩ ও ৪), মিরপুর (খিত্তা-৫-৬), সাভার (খিত্তা-৭-৮), মোহাম্মদপুর (খিত্তা-৯), কেরানীগঞ্জ (খিত্তা-১০-১১), কাকরাইল (খিত্তা-১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৮,২০, ২১), যাত্রাবাড়ী (খিত্তা-১৬, ২৬, ২৮) ডেমরা (খিত্তা-১৭) ধামরাই (খিত্তা-২৭), দোহার (খিত্তা-৩০)। রাজশাহী (খিত্তা-১৯), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (খিত্তা-২২), নাটোর (খিত্তা-২৪), নওগাঁ (খিত্তা-২৩), নড়াইল (খিত্তা-৪০), সিরাজগঞ্জ (খিত্তা-২৯), টাঙ্গাইল (খিত্তা-২৫), রংপুর (খিত্তা-৩১), গাইবান্ধা (খিত্তা-৩৪), লালমনিরহাট (খিত্তা-৩৬), মুন্সীগঞ্জ (খিত্তা-৪১), যশোর (খিত্তা-৪৬), নীলফামারী (খিত্তা-৩২), বগুড়া (খিত্তা-৩৫), জয়পুরহাট (খিত্তা-৩৩), নারায়ণগঞ্জ (খিত্তা-৩৮-৩৯), ফরিদপুর (খিত্তা-৬২), ভোলা (খিত্তা-৪৪), নরসিংদী (খিত্তা-৪৫), সাতক্ষীরা (খিত্তা-৪৭), বাগেরহাট (খিত্তা-৪৮), কুষ্টিয়া (খিত্তা-৫৪), মেহেরপুর (খিত্তা-৪৭), চুয়াডাঙ্গা (খিত্তা-৪৯), ময়মনসিংহ (খিত্তা-৫৫,৫৩), শেরপুর (খিত্তা-৫৬), জামালপুর (খিত্তা-৫১,৫২), গোপালগঞ্জ (খিত্তা-৫৯), কিশোরগঞ্জ (খিত্তা-৫৮), নেত্রকোণা (খিত্তা-৫৭), ঝালকাঠি (খিত্তা-৪৩), বান্দরবান (খিত্তা-৫৭), বরিশাল (খিত্তা-৪২)। পিরোজপুর (খিত্তা-৬৫), হবিগঞ্জ (খিত্তা-৬৬), কক্সবাজার (খিত্তা-৬৪), সিলেট (খিত্তা-৬৭), সুনামগঞ্জ (খিত্তা-৬৮), ফেনী (খিত্তা-৬৯), নোয়াখালী (খিত্তা-৭০), লক্ষ্মীপুর (খিত্তা-৭১), চাঁদপুর (খিত্তা-৭২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া (খিত্তা-৭৩)। খুলনা (খিত্তা-৭৪), পটুয়াখালী (খিত্তা-৭৫), বরগুনা (খিত্তা-৭৬), চট্টগ্রাম (খিত্তা-৭৭-৭৮), কুমিল্লা (খিত্তা-৭৯), মৌলভীবাজার (খিত্তা-৭৬), রাজবাড়ী (খিত্তা-৯০), মাদারীপুর (খিত্তা-৮৮), শরীয়তপুর (খিত্তা-৮৯), মানিকগঞ্জ (খিত্তা-৮৫), রাঙ্গামাটি (খিত্তা-৮১), দিনাজপুর (খিত্তা-৩৭), পাবনা (খিত্তা-৮৪) ও পঞ্চগড় (খিত্তা-৮৭)।

৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের জোবায়েরপন্থি মুসল্লিদের অংশগ্রহণে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা। চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাযের অনুসারী (সা’দ পন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ থাকলেও বিশ্ব ইজতেমায় তারাসহ সাত দেশের মুসল্লিরা একই খিমায় (তাঁবু) অবস্থান করছেন। অন্য দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ ও ইরান।

১৯৪৬ সালে প্রথমবারের মতো কাকরাইল মসজিদে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে এরপর ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তাবলীগ জামাতের এ বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগাড় গ্রামের কাছে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ইজতেমায় বিদেশি কয়েকটি জামাতও অংশ নেয়।

এখান থেকেই এর নাম হয় বিশ্ব ইজতেমা। অবশেষে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টঙ্গীর তুরাগ তীরবর্তী মাঠটি ইজতেমার জন্য বরাদ্দ করে দেন। তারপর থেকে অদ্যাবধি ১৬০ একর বিশাল ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ইজতেমা।