পোশাকসহ ৪৩ খাতে পণ্য রপ্তা‌নি‌তে নগদ সহায়তা কমলো

Posted on January 31, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এই লক্ষ্যে, পর্যায়ক্রমে সব ধরনের রপ্তানিতে প্রণোদনা কমানোর একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী সময়ে রপ্তানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সেজন্য সরকার এখন থেকেই বিভিন্ন ধাপে নগদ সহায়তা/ প্রণোদনার হার অল্প অল্প করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আগে রপ্তানি আয়ের ওপর ১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা প্রদান করা হতো, যাতে রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করা যায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা যায়।

এখন, নতুন ঘোষণার পর, সর্বোচ্চ হার ১৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ০.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী তৈরি পোশাক, কৃষি, চামড়াসহ ৪৩টি খাতে পণ্য রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দেওয়া হলেও হার কমানো হয়েছে।

নতুন নির্দেশনায় তৈরি পোশাক খাতে দশমিক ৫০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। তা আগে ছিল ১ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। পাটপণ্যে ভর্তুকি ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি ছিল ১০ শতাংশ, এখন পাবে ৮ শতাংশ। অন্যান্য খাতেও রপ্তানিতে ভর্তুকি কমিয়েছে সরকার।