এবার বইমেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত

Posted on January 30, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতি বছরের মতো এবারও ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে মাসব্যাপী দেশের বৃহত্তম বইমেলা ঐতিহাসিক ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৪’ শুরু হতে যাচ্ছে। এবার বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘পড়ো বন্ধু গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্টল মালিকদের প্রত্যাশা, এবার রাজধানীর বুকে পুরোদমে যাত্রা শুরু করা মেট্রোরেল বই মেলায় বয়ে আনবে প্রচুর দর্শক। তাদের ভেতরে থাকবেন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্রেতা-যারা মেলার বেচাকেনাকে সার্থক করে তুলবেন।

২০২৪ সাল অধিবর্ষ (লিপ ইয়ার) হওয়ার জন্য এবারের বইমেলা হতে যাচ্ছে ২৯ দিনের। বইপ্রেমী পাঠক, লেখক, প্রকাশক—সব পক্ষের জন্যই খুশি হওয়ার মতো বিষয় এটি।

গতবারের মতো এবারও মেলা বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর আর কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবে না। মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে দুই ক্যাটাগরিতে প্যাভিলিয়ন থাকবে ২৩টি। আর শিশু কর্নারে শিশু বিষয়ক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য থাকছে ৭৫টি ইউনিট।

বইমেলার পরিধি ও বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে এবার। গত বছর মোট সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে আয়োজিত হয় একুশে বইমেলা। স্টল বিন্যাসের ক্ষেত্রে ফাঁকা জায়গা কম রেখে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাছাকাছি রাখা হয়েছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন প্রান্তের স্টল সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল উদ্যানের ভেতরের দিকে। এ বছর সে বিন্যাস প্রায় অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে।

বাংলা একাডেমির সূত্রে জানা যায়, এবার নতুন ২০টি প্রকাশনা সংস্থাকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী অংশে ৪৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে স্টল দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯৬টি প্রতিষ্ঠান এক ইউনিট, ১০৩টি প্রতিষ্ঠান দুই ইউনিট, ৩৯টি প্রতিষ্ঠান তিন ইউনিট এবং ২০টি প্রতিষ্ঠান চার ইউনিটের স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। প্যাভিলিয়ন পেয়েছে ৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।

অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্বরে ৬৭টি প্রতিষ্ঠান স্টল বরাদ্দ পেয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান এক ইউনিট, ২০টি প্রতিষ্ঠান দুই ইউনিট, পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিন ইউনিট এবং তিনটি প্রতিষ্ঠান চার ইউনিটের স্টল বরাদ্দ পেয়েছে।

এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি এবং বইমেলা এলাকায় মেট্রোরেল পরিচালনার ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় মেলার নিখুঁত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিগত বছরের মতো সব ব্যবস্থা নিয়েছে।

ডিএমপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রধান চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে- জঙ্গিবাদ, অগ্নিসংযোগ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।
ডিএমপির মতে মেট্রোরেলে দুর্বৃত্তরা নাশকতা চালানোর চেষ্টা করছে এমনটি লক্ষ্য করায় মেট্রোরেল পরিষেবা একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসাবে উপস্থিত হয়েছে।

তবে বইমেলা মাঠের ভিতরে ও বাইরে ডিএমপি ইউনিফর্ম এবং সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে এবং মেলার আশেপাশের সবকিছু পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ওয়াচ টাওয়ার এবং ফায়ার টেন্ডার স্থাপন করা হবে।

এছাড়া মেলার মাঠ ও এর আশপাশ সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোন দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপির টিম পুরো ঘটনাস্থল ঝাড়ু দেবে এবং গুজব ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে।