প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ হিসেবে পুনঃনিয়োগ পেলেন রাজু

Posted on January 29, 2024

তিমির বনিক, স্টাফ রিপোর্টার: আবারও প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. আবু জাফর রাজু। শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও ক্রীড়া সংগঠক আবু জাফর রাজু ২০১৯ সাল থেকে এ পদে অত্যন্ত সততা, দক্ষ্যতা ও সুনামের সঙ্গে কর্মরত ছিলেন।

রোববার(২৮ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আবু জাফর রাজু'কে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে প্রধানমন্ত্রীর (পারিতোষিক ও বিশেষ অধিকার) আইন, ১৯৭৫ এর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে(যেটি আগে ঘটে) প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।

এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।আবু জাফর রাজুর পিতা মরহুম আব্দুল জব্বারকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্নেহ করতেন ও ভালোবাসতেন। ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার ১৯৬২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রভাতফেরী, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও শোভাযাত্রা করার কারণে গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৮ এর আগরতলা যড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচনসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় ছিলেন।

জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সহপরিবারে নিমর্মভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এজন্য তাকে বেশ কয়েকবার কারাভোগ ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি মেজর নুর তাকে রাতভর কারাগারে অমানুষিক নির্যাতন করে এবং ভোরে ব্রাশফায়ার করতে চেয়েছিল। পরে মুক্তি পেয়ে পুন:রায় রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে আবারও তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হন।

মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ পদে থাকাকালীন অবস্থায় কুলাউড়া সংসদীয় আসনের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকায় নাম লেখান। তিনি গত চার-পাঁচ বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। এ ছাড়া আরও প্রায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা প্রেরণ করেছেন। যা কুলাউড়াবাসীর জন্য আশির্বাদ হয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখেন।