চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত

Posted on January 28, 2024

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এবারের শীত মৌসুমের বেশির ভাগ সময়ই এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এরই মধ্যে বেশ কিছু দিন দেশের এবং মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এছাড়া এ জেলার ২০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ডে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রিতে নামারও রেকর্ড আছে! রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশকি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় এবং উত্তরের হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে তীব্র শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুন যার ফলে স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যহত রয়েছে। রোববার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বমিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, 'প্রতি বছরই শীত মৌসুম এলে মৌসুমের বেশির ভাগসময়ই চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় এবং অধিকাংশ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হয়। এ জেলায় এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ভৌগলিক অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে হয় বলে আমরা মনে করি। এবছরও চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। চুয়াডাঙ্গায় এবার চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশকি ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস'।

এছাড়া, চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ২০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড দেখলে বুঝা যায় এ জেলায় শীতের তীব্রতা কতটা ভয়াবহ। এ জেলার তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রিতে নামারও রেকর্ড আছে। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ জেলার ২০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অফিসের এ রেকর্ডে দেখা যায় - ২০০৩ সালের ২২ জানুয়ারি ৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৪ সালের ১০ জানুয়ারি ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৫ সালের ২১ জানুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৬ সালের ১১ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।