গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত বিচ্ছিন্ন ঘটনা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

Posted on January 23, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনাক একটি ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’।

আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহতের ঘটনা নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে কোন আলোচনা হয়নি, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যে পদক্ষেপ নেবে, তাতে ভারত সব সময় সহযোগিতা করবে। আমরা তাদেরকে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে বলেছি।

তিনি আরও বলেন, ভারতের ভিসা প্রাপ্তির সময় কমবে। অন-এরাইভাল ভিসা নিয়ে আলোচনা চলছে, শিগগিরই সুখবর মিলতে পারে।

উল্লেখ্য, যশোরে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রইশুদ্দীন নামে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল দলের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত রইশুদ্দীনের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

দিবাগত রাতে যশোর ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্টসংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে গরু চোরাকারবারিদের সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখলে দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এরপর তারা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পিছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে সৈনিক মোহাম্মদ রইশুদ্দীন মারা গেছেন।

এ বিষয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীকে (বিএসএফ) বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও মৃতদেহ বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত আনার বিষয়ে সব পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলে ও বিজ্ঞপ্তিকে জানানো হয়।