চলনবিলে ৫ দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই, বেড়েছে শীতের তীব্রতা

Posted on January 16, 2024

সাব্বির মির্জা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: পৌষের শেষে আর মাঘের প্রথমে শীতের তীব্রতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বয়ে চলেছে শৈত্য প্রবাহ। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে প্রকৃতি। এ অবস্থায় গত পাঁচদিন ধরে চলনবিলাঞ্চলে সূর্যের দেখা নেই। শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। সেই সঙ্গে বইছে মৃদু হিমেল বাতাস। যার ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এর সঙ্গে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্থ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক কর্মজীবনে নেমে এসেছে অনেকটাই স্থবিরতা।

স্বল্প আয়ের দিনমজুর মানুষের আয়-রোজগার কমে যাওয়ার পাশাপাশি শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়ের অভাবও দেখা দিয়েছে। মৃদু হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক শ্রমজীবী মানুষ। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে খেটে খাওয়া অনেক মানুষই কাজের উদ্দেশে বের হলেও তারা স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না। এই শীতে বিশেষ করে ছোট শিশুদের কষ্টের পরিমান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডা জনিত নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অপরদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারনে বোরো বীজ তলা গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আশংকা করছেন কৃষক।

এ দিকে চলনবিল এলাকার সকল হাট-বাজারে শীতকালীন সবধরণের শাক-সবজি ও তরিতরকারীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহত্তর চলনবিল অঞ্চলে আরো ২ থেকে ৩ দিন ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা বিরাজ করতে পারে। তবে তাপমাত্রা একটু বাড়তে পারে বলে আশার বানী শোনান।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক ও মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৪। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসলে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। এখন শৈত্যপ্রবাহ কিছুটা কমে এসেছে। তবে পাঁচ দিন হলো এ অঞ্চলে সূর্যেরও দেখা নেই।’ আরও দু-তিন দিন এমন কুয়াশাচ্ছন্ন ও শীত থাকতে পারে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।