চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, বাড়ছে শীতজনিত রোগ

Posted on January 14, 2024

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। গত ক'দিন থেকে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় এবং উত্তরের হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে তীব্র শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুন। সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গোটা জনপদ, যার ফলে স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, রোববার (১৪ জানুয়ারী) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন গুলো সাবধানে চলাচল করতে বলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (১২ জানুয়ারী) থেকে এ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতের কারণে ১০০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতাল, ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে সদর হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোয় ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘শীতে শিশু এবং বয়স্ক ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে বাড়তি সর্তকতা অলম্বন করতে হবে। কয়েকদিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র শীতে বেশি নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগিদেরকে চিকিৎসা এবং সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। টাটকা ও গরম খাবার খাওয়াতে হবে। কোন ভাবেই বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। পানি ফুটিয়ে পান করাতে পারলে ভাল। আর শিশুদের সকাল সন্ধ্যায় গরম পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কোনো ভাবেই বেশি ঠাণ্ডা লাগতে দেয়া যাবে না’।