কনকনে শীতেও তাড়াশের চলনবিলে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

Posted on January 11, 2024

সাব্বির মির্জা, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিভিন্ন এলাকায় ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। উপজেলাগুলোর চরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে রোপন করা হচ্ছে ধানের চারা।

শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে চলছে কৃষকদের ব্যস্ততা।জানা গেছে, আগাম জাতের ইরি-বোরো ধানের বীজ রোপণের হিড়িক পড়েছে। অন্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে তাড়াশ উপজেলায় তিনগুণ বেশি জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। আমন ধানের দাম ভালো না পাওয়ায় ইরি ও বোরো ধানের আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের মধ্যে হাইব্রিড ও উফসী জাতের ধান বেশি আবাদ হয়। এছাড়াও, ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৮১, ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৯সহ স্থানীয় জাতের কিছু ধানের চাষও করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে শীতে বীজ তলার তেমন ক্ষতি না হওয়ায় জমিতে চাষাবাদ ঠিকমতো করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি ইরি- বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানের কৃষকেরা ভোর থেকে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসলের ক্ষেতে। শীত উপেক্ষা করে ধানের চারা রোপন করছেন। ধানের চারা রোপণে স্থানীয় কৃষকেরা দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক এনেও কাজ করছেন ফসলের ক্ষেতে।

উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের কৃষক মো. হাসেম সরকার জানান,'প্রতি বছরই ধানের চাষ করি। এ বছরও করছি। তবে বীজের দাম বেড়েছে। শ্রমিকের মজুরিও বেশি। ফলন ভালো হলে লাভের মুখ দেখা যাবে। '

অপর কৃষক মো. মোস্তাক হোসেন বলেন,'সব কিছুর দাম বেশি থাকায় ধান চাষে ব্যয় বেশি হচ্ছে। এবার বীজ ভালো পাওয়া গেছে। আশা করি ফলনও ভালো আসবে। '

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলার তেমন একটা ক্ষতি না হওয়ায় উপজেলার কৃষকেরা অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, উপজেলায় চলতি বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় শতকরা ৩০ শতাংশ জমিতে বোরো ধান রোপণ করা সম্পন্ন হয়েছে। অতিদ্রুত পুরো উপজেলার সকল মাঠের জমিতে বোরো ধান রোপণ করা সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদী।

এছাড়াও উপজেলার কৃষকদের বোরো বীজতলা তৈরি করা থেকে শুরু করে জমিতে চারা রোপণ করা পর্যন্ত সকল পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।