চাল-ময়দা-তেল-পেঁয়াজের দাম কমেছে

Posted on December 25, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অবশেষে কমতে দেখা যাচ্ছে। গেল এক সপ্তাহে চাল, ডাল, ময়দা, তেল, পেঁয়াজ ও আলুসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কমেছে। অবশ্য দাম কমলেও এসব পণ্য নিম্ন আয়ের মানুষকে খুব একটা স্বস্তি দিতে পারছে না।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে গত এক সপ্তাহে চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, মসুর ডাল, আলু, ছোলা, আদা, জিরা, দারুচিনি, ধনে, তেজপাতার দাম কমার তথ্য উঠে এসেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে শুধু রসুনের।

রাজধানীর শাহজাহানপুর, বাসাবো বাজার, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, শ্যাম বাজার, কচুক্ষেত বাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রামপুরা এবং মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম ১.৯৪ শতাংশ কমেছে। এক কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৫৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এই চালের কেজি ছিল ৪৮-৫৫ টাকা।

গরিবের মোটা চালের পাশাপাশি দাম কমেছে সরু চাল নাজির ও মিনিকেটের। সেই সঙ্গে মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের দামও কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাঝারি মানের চালের দাম কমেছে ২.৬২ শতাংশ। এখন এক কেজি মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৬০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৫৫-৬০ টাকা। আর সরু চালের দাম কমেছে দশমিক ৭৩ শতাংশ। এতে এক কেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৭৮ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এই চালের দাম ছিল ৬২-৭৫ টাকা।

টিসিবি জানিয়েছে, গেল এক সপ্তাহে সব ধরনের সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের দাম কমেছে। লুজ সয়াবিন তেলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ৫.০৭ শতাংশ। এতে এক লিটার লুজ সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭-১৭০ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৫-১৮০ টাকা।

৫ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৮০-৯০৬ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৮৯০-৯২৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ১.৬০ শতাংশ। আর এক লিটার বোতলের দাম কমেছে ১.৩৫ শতাংশ। এতে বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৮-১৮৭ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০-১৯০ টাকা।

অপরদিকে লুজ পাম অয়েলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১১৭-১২৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ১১৫-১৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ১.২২ শতাংশ। আর সুপার পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১২ টাকা, যা আগে ছিল ১০-১৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ২.৮১ শতাংশ।

দাম কমার তালিকায় থাকা খোলা ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকা, যা আগে ছিল ৭০-৭৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ২.০৭ শতাংশ। দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২৫ শতাংশ। এতে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫-৫৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এতে এক কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০-৪৫ টাকা।

টিসিবি জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে বড় ও মাঝারি দানার মসুর ডাল কমেছে। বড় দানার মসুর ডালের দাম কমেছে ২.৩৮ শতাংশ। এতে এক কেজি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকা, যা আগে ছিল ১০০-১১০ টাকা। আর মাঝারি দানার মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা, যা আগে ছিল ১২৫-১৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ৩.৯২ শতাংশ।

গত এক সপ্তাহে ছোলার দাম ২.৮৬ শতাংশ কমেছে। এতে এক কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, যা আগে ছিল ৮৫-৯০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা, যা আগে ছিল ২২-৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ১৩.৪৬ শতাংশ।

এছাড়া আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০-১৬০ টাকা। জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০০-৫৭০ টাকা। দারুচিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৩০-৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৪২০-৫২০ টাকা। ধনে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১২০-১৬০ টাকা। আর তেজপাতার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৭০ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০-১৮০ টাকা।

টিসিবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের রসুনের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৯.০৯ শতাংশ। এতে এক কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০-১২০ টাকা। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৭০-৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১৩.৩৩ শতাংশ।