সাতক্ষীরায় টানা ৪র্থ বার বিজয়ী রুহুল হক, বাকিরা নতুন মুখ

Posted on January 8, 2024

শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা ৪টি আসনে ৩টি তে নৌকা ও একটিতে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

রোববার রাতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং কর্মকতা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ভোট গননা শেষে বেসরকারি ভাবে তাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

সাতক্ষীরা-০৩ আসন (আশাশুনি-দেবহাটা ও কালীগঞ্জে আংশিক) এলাকা নিয়ে গঠিত। এ আসনে ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি জিতে টানা চতুর্থবারের মতন নৌকা প্রর্তীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক। তিনি পেয়েছেন ১লক্ষ ৩৮ হাজার ৮শত ৮৭ ভোট।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পাটির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. আলিফ হোসেনকে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৮শত ১১ ভোটে পরাজিত করেন তিনি। এ ছাড়া সাতক্ষীরা-১, ২ ও ৪ আসনে প্রথমবাবের মতন নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থীরা।

পর্যায়ক্রমে সাতক্ষীরা-০১ (তালা-কলারোয়া) আসনে ৬৩ হাজার ১ শত ৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ছেন আওয়ামী মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র দোলনা প্রতীকের প্রার্থী এস.এম মুজিবুর রহমান পেয়েছেন ১০৫৩৩ ভোট।

সাতক্ষীরা-০২ ( সদর) আসনে ৮৮ হাজার ৩শত ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পাটির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. আশরাফুজ্জামান আশু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঈগল প্রর্তীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪শত ৪৭ ভোট। এবং

এবং সাতক্ষীরা-৪ ( শ্যামনগর- কালীগঞ্জ) আসনে ১লক্ষ ৩৬ হাজার ৩শত ৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এস. এম. আতাউল হক দোলন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নোঙর প্রতীকের প্রার্থী এইস.এম. গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৮ ভোট।

এ দিকে সাতক্ষীরা-৩ আসনে টানা চতুর্থবারের মতো সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক

নির্বাচিত হওয়ায় তার নির্বাচনী এলকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন সাধারণ মানুষ ও তার কর্মী সমর্থকরা।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে ৮ টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৩০ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এর আগে রোরবার সকাল ৮ টা থেকে জেলার চারটি সংসদীয় আসনের ৬০২টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহন শুরু হয় বিরতিহীন ভাবে চলে বিকাল ৪ টা পর্যান্ত ৷ চারটি নির্বাচনী এলাকায় ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।