আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়

Posted on January 7, 2024

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : নতুন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে টানা চতুর্থ মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে দলটি। ভোটের মাঠে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে রেকর্ড খাতায় নাম লেখালেন ক্ষমতাসীন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা চতুর্থ মেয়েদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তিনি।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯৯ আসনের মধ্যে ৫৮টিতে জয় নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। আর লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি দুটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২টিতে জয়ী হয়েছেন। আরও অন্তত দুই শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। কিছু আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এগিয়ে আছেন। এছাড়া কিছু আসনে হাড্ডাহাডি লড়াই চলছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী। গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই আসনের মোট কেন্দ্র ১০৮। সব কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে শেখ হাসিনা (নৌকা) ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আবুল কালাম (আম-এনপিপি) ৪৬০ ভোট পেয়েছেন। আরেক প্রার্থী মাহাবুর মোল্যা (গোলাপ ফুল-জাকের পার্টি) পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।

আওয়ামী সিনিয়র নেতাদের মধ্যে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিজ নিজ আসনে জয়ী হয়েছেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে হেরে গেছেন। এছাড়া নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেও হেরে গেছেন মহাজোট প্রার্থী ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

টানা পঞ্চমবার জয়ী হয়েছেন আসাদুজ্জামান নূর। নীলফামারী-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এক লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ফল ঘোষণা করেন।

টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।

মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৯৪ হাজার ৩০৩টি। ফরহাদ হোসেনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন। আর মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট।

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে বেসরকারি ফলাফলে মহিব্বুর রহমান (নৌকা) ৬০ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুবুর রহমান (ঈগল) পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৭৬ ভোট।

শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নকলা ও নালিতাবাড়ীর দুই সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রাত ৮টার দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ ভোট। ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।

মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হলেন মো. আব্দুস শহীদ। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা সপ্তমবারের মতো বিজয়ী হলেন তিনি। আব্দুস শহীদ ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টে প্রার্থী আব্দুল মুহিত হাসানী মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯০। আরেক প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন মিনার প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৬৮ ভোট পেয়েছেন।

সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সোনালী আঁশ) চার হাজার ভোট পেয়েছেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়েও হেরে গেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। অধিকাংশ কেন্দ্রেই ফল বিপর্যয় হয়েছে তার। ১৪ দলীয় জোটের অংশ হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৩১ ভোট। আর ৪১ হাজার ২৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন। কুড়িগ্রাম-২ (সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হামিদুল হক খন্দকার (ট্রাক) ৯৫ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৮ ভোট। রংপুর-১ (গংগাচড়া-সিটি আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান (রাঙ্গা) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।

রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুনশি ৪৬ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৩১ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র এ কথা জানিয়েছন।

১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইয়াজুল হক ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৯৭ ভোট।

বরিশাল-১ আসনে (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ১২২ ভোট।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে কিশোরগঞ্জের তিনটি আসনে সাবেক তিন রাষ্ট্রপতির সন্তানরা জয়ী হয়েছেন। কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জয়ী হয়েছেন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা জাকিয়া নূর (লিপি)। নৌকা প্রতীকে লড়ে জয়ী হন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তার আপন বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। তাদের ভাই আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে জয়ী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য (নৌকা) রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে। আর কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে জয়ী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য (নৌকা) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান (পাপন)। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে।

এছাড়া কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) আইনজীবী মো. সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব (লাঙ্গল) মুজিবুল হক (চুন্নু) ও কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য (নৌকা) মো. আফজাল হোসেন জয়ী হয়েছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাকিব আল হাসান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত এই প্রার্থী আসনটিতে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাব মার্কার অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল ৫ হাজার ৯৭৩ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে রাজবাড়ী-১ আসনে ৪১ কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী কেরামত আলী। তিনি ২৫ হাজার ৯৩৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমদাদুল হক বিশ্বাস (ট্রাক) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪০২ ভোট।

ঢাকা-১৯ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ২৯২। ২৬টি কেন্দ্রে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ ৫ হাজার ৯৯০ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৩৬ ভোট। আর ট্রাক প্রতীক নিয়ে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৩০ ভোট। সাভারের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সন্ধ্যা ৭টায় এ তথ্য জানা গেছে।

মাদারীপুর-৩ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম এগিয়ে আছেন। এ আসনের ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৫টির বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, তাহমিনা বেগম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ১৩৮ ভোট। আর নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৯ ভোট।

প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ, সাবের হোসেন চৌধুরী, সালমান এফ রহমানসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতা এগিয়ে আছেন। তবে আওয়ামী লীগের ডাকসাইটে এবং একাধিকবারের সংসদ সদস্যকে পেছনে রেখে বেশ কয়েকটি আসনে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

ফরিদপুর-৩ আসন এবার নির্বাচনী প্রচারণার সময় নানা কারণে আলোচনায় ছিল। এ আসনের ১৫৪টি কেন্দ্রে বিশিষ্ট শিল্পপতি এ. কে. আজাদ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট।

হবিগঞ্জ-৪ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হক (সুমন) এগিয়ে আছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। চাঁদপুর-৩ আসনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এগিয়ে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামসুল হক ভূঁইয়া। এর আগে গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক ভোটগ্রহণে নির্বাচনী পরিবেশ মনিটরিং করে আওয়ামী লীগ।