গোপীবাগে ট্রেনে আগুন: পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার ৬

Posted on January 6, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনায় পরিকল্পনাকারীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

হারুন অর রশীদ বলেন, ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় কাজী মনসুর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, যুবদলের কয়েকজন নেতা ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনার পরিকল্পনা করেছিলেন। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে আগুন লাগানোর জন্য লালবাগ এলাকার কয়েকজন দাগি আসামিকে দায়িত্ব দেন। এই ঘটনায় অর্থ সহায়তা এবং পরিকল্পনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান বলেন, আলামত হিসেবে নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের ভিডিও কনফারেন্সে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ, মানিব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ডিবি জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যানবাহনে আগুন দেয়া, প্রার্থীদের অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া, ভোটকেন্দ্রে অথবা তার আশপাশে হাতবোমা নিক্ষেপ করে ভোটারদের আতঙ্কিত করা, প্রচারপত্র বিলি করার কাজসহ গতকাল (শুক্রবার) গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে আগুন দেয়ার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও জনবল দাতা মনসুর আলম এবং বিএনপির পক্ষে আশ্রয় ও অর্থদাতা নবী উল্লাহ নবীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি লালবাগ ও ওয়ারী বিভাগ।

ডিবি প্রধান আরো বলেন, ট্রেনে আগুন লাগার আগে বিএনপির ১০/১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুর পরিকল্পনা করেন। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের পরিকল্পনা হিসেবে বিএনপির হাইপ্রোফাইল নেতারা ভিডিও কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে প্রথমে আসেন মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম। এরপর আসেন সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফফার, ইকবাল হোসেন বাবলু, একজন দপ্তর সম্পাদক ও কাজী মনসুর।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে দগ্ধ ৮ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, দগ্ধ আটজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের সবাই মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছেন।