জ্বালাও-পোড়াও-খুন, বিএনপির একমাত্র গুণ: প্রধানমন্ত্রী

Posted on January 4, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি আর নির্বাচনে আসতে চয় না। তারা নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। যার জন্য তারা সন্ত্রাস করছে। আপনারা জানেন ২০১৪ সালের নির্বাচন বন্ধ করার জন্য ২০১৩ থেকেই অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাস শুরু করে। তিন হাজারের বেশি মানুষকে তারা পুড়িয়েছে। তার মধ্যে ৫০০ মানুষ মারা গেছে। জ্বালাও-পোড়াও-খুন, বিএনপির একমাত্র গুণ।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়রি) নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নির্বাচনি জনসভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

এ সময় তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৩৩টা আসন আর বিএনপি পেয়েছিল ৩০টা আসন। এরপর থেকে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে আসেনি। কারণ, তারা জানে বাংলার মানুষ তাদের আর চায় না। তাই তারা (বিএনপি) আগুন-সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। ভোট বানচালে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। তাই সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে প্রমাণ করতে হবে দেশে গণতন্ত্র আছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের উন্নতি আর কেউ করতে পারবে না। নৌকা মার্কা উন্নয়ন দিয়েছে। নৌকাই ভবিষ্যতে উন্নতদেশ দিবে। আগামীতে নৌকায় ভোট চাই। নৌকায় এবার লাঙ্গলও চড়ে বসেছে, সেদিকেও একটু দেখবেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, আমরা দেশের দারিদ্র্যের হার কমিয়েছি। শিক্ষার হার বাড়িয়েছি। বিএনপির আমলে শিক্ষার হার কমেছে আর দারিদ্র্যের হার বেড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন দেশের দায়িত্ব দেন তখন এক টাকাও রিজার্ভ ছিল না। মানুষের ধানের গোলাও ছিল না। পাকিস্তানি আর্মি সব পুড়িয়ে দেয়। শূন্য হাতে বঙ্গবন্ধু দেশের দায়িত্ব নিয়ে দেশকে স্বয়ংসম্পন্ন করেন। প্রতিটি ঘরে ঘরে তিনি রিলিফ পৌঁছে দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা মাত্র তিন বছর সাত মাস দেশ শাসনের সুযোগ পান। এসময়ে তিনি দেশকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা আমার মা-বাবা, ভাই ও চাচাকেসহ ১৮ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমি ও আমার ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশ থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। কিন্তু এ বেঁচে থাকাটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্বিসহ হয়ে ওঠে।

এর আগে বিকেল সোয়া ৩টা সময় প্রধানমন্ত্রী জনসভায় আসেন। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।