মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি ১ সপ্তাহ পেছাল

Posted on January 3, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছেন হাইকোর্ট।

১ থেকে ৭ জানুয়ারি বিএনপির আদালত বর্জন কর্মসূচি চলমান থাকায় বিএনপির আইনজীবীরা জামিন শুনানিতে অংশ নেননি। এরই প্রেক্ষিতে আদালতের সিনিয়র আইনজীবীদের ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে এক সপ্তাহ সময় আবেদন করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়ালিউর রহমান।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকালে ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এ সময় আদালত বলেন, শুনানির তাড়া ছিল, এখন নেই কেন? পরে আদালত শুনানির জন্য নির্বাচনের দিন (৭ জানুয়ারি) ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. সেলিমের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির দিনে কার্যতালিকার ১ নম্বরে ছিল। এ সময় মির্জা ফখরুলের আইনজীবী আগামীকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) শুনানির আবেদন করলে আদালত বলেন, বন্ধের পর শুনানি হবে। এখন কোনোভাবে সম্ভব না। পরে আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

গত ৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। তার আগে গত ৩ ডিসেম্বর এই মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরও আগে গত ২২ নভেম্বর তার জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত।

গত ২৮ অক্টোবর (শনিবার) বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। সেই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

পরে ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, নির্বাচন বাতিল ও বিচারিক হয়রানি বন্ধের দাবিতে বুধবার (৩ জানুয়ারি) তৃতীয় দিনের মত আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি ও সমমনাদলের আইনজীবীরা।

আদালতের প্রবেশ পথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করছেন তারা। দলটির আইনজীবীদের এ বর্জন কর্মসূচি চলবে ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন পর্যন্ত। তবে সকাল থেকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালত বর্জন করলেও স্বাভাবিক রয়েছে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারকাজ।

এদিকে নাশকতার ৯ মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওইদিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।