এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও আবেদন স্থগিত

Posted on January 15, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের আইপিও আবেদন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পরযন্ত কোম্পানিটির আবেদন গ্রহণ অনিদিৃষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে।

জানা যায়, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের স্থায়ী সম্পদের মূল্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদের মালিকানা নিয়েও জটিলতা রয়েছে বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে অভিযোগ এসেছে। যার সত্যতা যাচাই করার জন্য কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারন বিনিয়োগকারীদের আবেদন স্থগিত করেছে কমিশন।

কোম্পানিটি ১৬ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত আইপিও আবেদনের সময় নির্ধারণ করেছিল।

জানা গেছে, কোম্পানির শেয়ারটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ৫০ টাকা। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই ৫০ টাকার ৩০% ডিসকাউন্ট অর্থাৎ ৩৫ টাকা অথবা ২০ টাকা, যেটি কম সে মূল্যে শেয়ার পাবেন। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের প্রতিটি শেয়ার ২০ টাকা করে কিনতে পারবেন।

এর আগে গত ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টা থেকে একটানা ১৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানিটির বিডিং অনুষ্ঠিত হয়।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসি) কোম্পানিটিকে গত ৩১ আগস্ট বিডিংয়ের অনুমতি প্রদান করে। কোম্পানিটির পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করার কথা ছিল।

বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর নিয়ম অনুসারে, প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি করা হবে। যে দামে এসে তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের বিক্রি শেষ হবে, সেই দামের (Cut-off Price) চেয়ে ৩০ শতাংশ অথবা ২০ টাকা, যেটি কম, সেই দামে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনঃমূল্যায়ন পরবর্তী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা। আর পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। পাঁচ বছরের ভারিত গড় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা।

আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত অনুসারে, তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।

কোম্পানিটির আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার হচ্ছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।