খুলে দেয়া খুরুশকুল সেতুতে দর্শনার্থীদের ভীড়

Posted on December 30, 2023

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: খুরুশকুল সেতু খু‌লে দেওয়ায় শত শত দর্শনার্থীর ভী‌ড়ে উৎসব মুখর প‌রি‌বে‌শ তৈ‌রি হ‌য়ে‌ছে। দুপুর ২টার পর সেতু‌টি খু‌লে দেয়া হয়। গত ১১ ন‌ভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সেতু‌টি উদ্বোধনের দেড় মাস পর সেতু‌টি খু‌লে দেয়া হ‌লো। অ‌নে‌কে ঘুর‌তে এসে সেতু‌টি খোলা দেখ‌তে পে‌য়ে প‌রি‌চিত জন‌দের খবর দেন। কেউ স্বপ‌রিবা‌রে, কেউ বন্ধুদের নি‌য়ে আবার কেউ কেউ একা একা ঘুর‌তে আসেন সেতু‌টি দেখ‌তে। হাটার পাশাপা‌শি বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, টমটম, সিএন‌জি, কারসহ বি‌ভিন্ন যানবাহ‌নে ক‌রে সেতু‌টি পার হন। ‌সেতুর ওপর বাতাস এবং ম‌নোরম প‌রি‌বেশ দে‌খে অ‌নে‌কেই মুগ্ধ হন।

কক্সবাজার সদ‌রের স্থানীয় বা‌সিন্দা মোহাম্মদ আরিফ জানান, এই সেতু‌টি অ‌নেক দি‌নের স্বপ্ন ছিল। এখা‌নে সেতু হ‌বে সেটা কিন্তু অ‌নে‌কে ভাব‌তেও পা‌রেন‌নি। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্ত‌ব হ‌য়ে‌ছে। এটা আস‌লে আমা‌দের জন‌্য বিশাল আন‌ন্দের খবর।

সা‌মিমুল হক‌ চৌধুরী বলেন, ফেইসবু‌কে লাইভ দে‌খে জানলাম সেতু‌টি খু‌লে দেয়া হ‌য়ে‌ছে, তাই চ‌লে এলাম। এখানকার প‌রি‌বেশ খুবই সুন্দর, এসে খুবই আনন্দ লাগ‌ছে।

উল্লেখ্য, সেতু‌টি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ২শ ৫৯ কোটি টাকা। যেখানে রয়েছে ২৩শ মিটার এপ্রোচ রোড ও বদর মোকামের সামনের অংশের ৪৬০ মিটার মেরামতের কাজ।

এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান জানান,২০১৯ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ সময়সীমার আগেই শেষ হয়েছে।২৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ এই সেতুতে ৩টি ৬৫ মিটার গভীরের স্প্যান এবং ৫০ মিটারের ১০টি স্প্যান রয়েছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের উদ্যোগের ফলে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবারকে খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্পে স্থানান্তরিত করছে সরকার। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীসহ খুরুশকুলবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে কস্তুরাঘাটস্থ বিআইডাব্লিউ ভবনের পশ্চিম পাশে নির্মিত হয়েছে খুরুশকুল সেতু।

খুরুশকুলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আশ্রয়ন প্রকল্পের সাথে সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি সেতুটি পুরোপুরিz চালু হলে পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরালে দেওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ৩১ ডিসেম্বর রবিবার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে খুরুশকুল সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায় শত-শত মানুষের অপেক্ষা। তারা খুরুশকুল সেতু পার হতে এসেছিলেন তবে খুলে না দেওয়ায় ফিরে যাচ্ছেন।

কক্সবাজার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন খান জানান, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি’র প্রকল্প পরিচালক না আসায় আজ খুলছে না বাকখাঁলী নদীর উপর নির্মিত খুরুশকুল সেতু। পুনঃ নির্ধারণ হওয়া ৩১ ডিসেম্বর বছরের শেষ দিন ও নতুন বছর শুরুর আগেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে দৃষ্টিনন্দন খুরুশকুল সেতু।

সেতু–সড়কের পাশেই বাঁকখালী নদী আর কয়েকটি জলাভূমি। সেতুটি শুধুমাত্র দুই পাড়ের সংযোগ ঘটায়নি, নতুন করে সংযোগ স্থাপন করবে খুরুশকুলের অর্থনীতিতে। এই সেতু নির্মিত হওয়ায় অর্থনীতিতে এক দারুন সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এ ব্রীজটি নির্মান করতে ব্যয় হয়েছে ২শ ৫৯ কোটি টাকা। যেখানে রয়েছে ২৩শ মিটার এপ্রোচ রোড ও বদর মোকামের সামনের অংশের ৪৬০ মিটার মেরামতের কাজ।

এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান জানান,২০১৯ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ সময়সীমার আগেই শেষ হয়েছে।২৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ এই সেতুতে ৩টি ৬৫ মিটার গভীরের স্প্যান এবং ৫০ মিটারের ১০টি স্প্যান রয়েছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের উদ্যোগের ফলে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবারকে খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্পে স্থানান্তরিত করছে সরকার। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীসহ খুরুশকুলবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে কস্তুরাঘাটস্থ বিআইডাব্লিউ ভবনের পশ্চিম পাশে নির্মিত হয়েছে খুরুশকুল সেতু।

খুরুশকুলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আশ্রয়ন প্রকল্পের সাথে সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি সেতুটি পুরোপুরি চালু হলে পর্যটন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।