রমজানে পণ্যমূল্য বাড়ালে জেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি এফবিসিসিআই’র

Posted on December 18, 2023

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : অনৈতিকভাবে আগামী রমজানে অসৎ ব্যবসায়ীরা পণ্যমূল্য বাড়ালে তাদেরকে সরকারের সহযোগিতায় জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নেতারা। অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা করবে ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন বলে জানিয়েছেন নেতারা।

আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় সংগঠনের নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন। আসন্ন রোজায় নিত্যপণ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, যারা অনৈতিকভাবে বাজারে সংকট তৈরি করবে আমরা তাদের সঙ্গে নেই। ব্যবসায়ীদের কেউ অসাধু বলুক, সিন্ডিকেট করা হচ্ছে এমন কোনো কথা উঠুক, তা আমরা শুনতে চাই না। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করুক। কোনো সমস্যা হলে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কিন্তু আমাদের কোনো বদনাম হোক তা চাই না।

তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের কথা শুনেছি। এলসি খোলা নিয়ে জটিলতা আছে। এটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। প্রয়োজনে আরও কথা বলব। মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে কথা উঠেছে। কিন্তু আমি মনে করি এটার আগে যেসব মন্ত্রণালয় বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত তাদের মধ্যে সমন্বয় হওয়াটা বেশি জরুরি।

বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার অজুহাতে খোলা তেল বাজার থেকে একেবারে উঠিয়ে দেয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অথচ এই ব্যবসার সাথে অনেক মানুষ জড়িত। ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোতে তদারকি বাড়ালে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, রমজানের আগে মুরগির দাম একটু একটু বাড়ানো হচ্ছে। এলপিজি আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে। অথচ রেস্তোরাঁ খাতে প্রচুর এলপিজির প্রয়োজন। বাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করলে সভা করতে কর‍তে লোপাট করা শেষ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, বিভিন্ন বাজারের অনেক ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য নন। তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা যাচ্ছে না।’ তবে কাঁচাবাজারে কোনো সিন্ডিকেট নেই বলে জোরালো দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, যেসব পণ্য যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে তারা সরকারকে বোঝায় যে, উৎপাদনে তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা করতে গিয়ে অনেকসময় ভুল তথ্য দেয়া হয়। এজন্য আমরা ভোগ্যপণ্য নিয়ে একটা মন্ত্রণালয় চাই। একেকজন একেক দিকে না গিয়ে আমরা একটা জায়গায় কথা বলতে চাই। সমস্যার সমাধান চাই।