পেকুয়ায় আগুনে এনজিও কর্মকর্তার বসতবাড়ি ভস্মীভূত

Posted on January 14, 2023

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের পেকুয়ায় আগুনে পুঁড়ল এনজিও কর্মকর্তার বসতবাড়ি। শনিবার (১৪ জানুয়ারী) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া গ্রামে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২ টার দিকে ছিরাদিয়া গ্রামে মৃত মোস্তাক আহমদের পুত্র আক্তার হোসেন ও কামাল হোসেনের বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। এ সময় বসতবাড়িটিসহ এর লাগোয়া স্থানে অপর একটি কাছারীও আগুনে পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। এরপর আগুনের তীব্র লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে সমস্ত বাড়ি দুটি পুঁড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে পেকুয়ার ফায়ার এন্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি টীম সেখানে পৌছেন। তবে তারা যাওয়ার আগেই বাড়ি দুটি আগুনে পুঁড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। বসতবাড়ির মালিক দুইজনই আপন সহোদর। তারা দুই ভাই পৈত্রিক ভিটায় একটি টিনের ছালার বাড়ি নির্মাণ করেন ১ বছর আগে। বসতবাড়ির মালিক আক্তার হোসেন এনজিও সংস্থায় কর্মরত আছেন। স্বামী-স্ত্রী দুইজনই এনজিও’তে চাকুরী করেন। আক্তার হোসেন ইউনিসেফের অর্থায়নে এনজিও সংস্থা একলাবের ইনফরমেশন সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

অপরদিকে তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম এনজিও সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশের কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট (সিডিও) হিসেবে কাজ করছেন। এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী সিরাদিয়া এলাকার জহিরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, নেজাম, জয়নাল, ছাবের আহমদসহ আরো লোকজন জানান, বেলা ১২ টার দিকে আগুন লাগে। প্রায় ২ ঘন্টা আগুনের তীব্রতা ছিল। আমরা পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেছি। তবে পারেনি।

নুরুল হোসেন, ছকিনা বেগম, দিলনুর, আনোয়ারা বেগমসহ অনেকে জানান, ফায়ার সার্ভিস আসতে বিলম্ব করেছে। এখানে এসেও টাকার জন্য তারা পাম্প সচল করেনি। ১৫ হাজার টাকা দরদাম করেছে। মানিক মেম্বার টাকা নিজে দিবেন বলে এদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।

আক্তার হোসেনের মা নুরজাহান বলেন, আগুনে ৫ ভরি স্বর্ণ আমার ছেলে আক্তার হোসেনের ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, আমার গচ্ছিত রাখা ৫০ হাজার টাকা, ছেলে আক্তার হোসেনের ৪ টি বন্ধকী জমির স্ট্যাম্প, আক্তার হোসেন ও তার স্ত্রীর মাষ্টার্স, অনার্সের মূল সনদ, জমির খতিয়ান, কামাল হোসেনের ৩ টি স্ট্যাম্প, দুই পুত্রের আসবাবপত্র, ২৩০ আড়ি ধান, কাপড় ছোপড়সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এনজিও কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, আমি চৌমুহনীতে স্ত্রীকে নিয়ে বাসা ভাড়ায় থাকি। এখানে আমার বড় ভাই কামাল হোসেন ও আমার মা, ভাবী খালেদা বেগমরা থাকেন। আমরা এখন খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছি।