ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ঋণমান ‘ডাবল এ প্লাস’

Posted on December 11, 2023

পুঁজিবাজার ডেস্ক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং প্রকাশের দিন পর্যন্ত কোম্পানিটির অন্যান্য গুণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৮১ টাকা ২৬ পয়সা।

২০২২-২৩ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৩৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ৮৮ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা ৮ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৭৪ টাকা ৭১ পয়সা।

২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ৮৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৯৮ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ৭১ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৭০ টাকা ৩৩ পয়সা।

২০২০-২১ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৯৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ১২ পয়সা। ৩০ জুন ২০১৯-২০ সমাপ্ত হিসাব বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ লভ্যাংশ দেয় তারা। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

১৯৯৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন হাউজিংয়ের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬৫৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৩। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৫০ দশমিক ৩৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ১৩, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য ১ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে বাকি ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।