প্রার্থিতা ফিরে পেলেন মাহিয়া মাহি

Posted on December 11, 2023

বিনোদন ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন হিসেবে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ নায়িকা আপিল করলে শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে আপিল শুনানি হয়। শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেতে মাহির আবেদন মঞ্জুর করে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

আপিল শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে এদিন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে নির্বাচন ভবনে আসেন মাহি।

মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর ইসি চত্বরে উল্লাসে ফেটে পড়েন মাহি। ফটোসাংবাদিকদের সামনে আঙুলে বিজয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

আপিল ফিরে পেয়ে সংবাদমাধ্যম মাহিয়া মাহি জানান, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমেই তিনি জয়লাভ করতে চান।

নির্বাচনের মাঠে কোনো চাপ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, চাপ তো অবশ্যই আছে। কারণ কে চাইবে হেরে যেতে। হারতে কেউ পছন্দ করি না, সেটা চাইও না। সবাই যার যার জায়গা ধরে রাখার চেষ্টা করবে। ওই এলাকার মানুষ আমাকে চায়, ইনশাআল্লাহ। বিপুল ভোটে তারা আমাকে বিজয়ী করবে। আমি বরাবরই যোদ্ধা, যুদ্ধ করেই জয়লাভ করব, ইনশাল্লাহ্।

খুব টেনশনে ছিলাম উল্লেখ করে মাহি জানান, আমি ন্যায়বিচার পাব কি না, তা নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম। আমি আমার জায়গা থেকে সৎ ছিলাম, আজকে সেটারই প্রতিদান পেয়েছি এবং এটাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছি এই নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে একটি সুসঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, আপিল তথ্যে রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাহির নাম উল্লেখ করা হয়েছে শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া। তার আপিল নম্বর ১৭৯/২০২৩।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ তার নিজ কার্যালয়ে আসন্ন এ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেন। ওই দিন চিত্রনায়িকা মাহির মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

সাধারণত, প্রার্থীদের হলফনামায় প্রদান করা সম্পদের হিসাব, তাদের নামে কোনো মামলা রয়েছে কিনা, মামলা থেকে তার সবশেষ অবস্থা, ব্যাংক ঋণ রয়েছে কিনা, কর বকেয়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কয়েকটি বিষয় যাচাই-বাছাই করা হয়।

ওই দিন জেলা প্রশাসক মাহির মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণার ব্যাপারে জানিয়েছিলেন, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যেসব ভোটারদের নামও স্বাক্ষর দিয়েছেন মাহি, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সঠিক পাওয়া যায়নি। কোনো প্রার্থীর ১০ জনের ভোটার যাচাই করা হয়। কিন্তু তার (মাহি) ক্ষেত্রে তিনজনের তথ্য পাওয়া যায়নি। এরপর মনোনয়নপত্র বৈধতার পক্ষে আপিল করেন মাহি।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাহি। তবে গত ৩ ডিসেম্বর (রোববার) যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক শতাংশ ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষর পাওয়ার অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।