জাতীয় অধ্যাপক আব্দুল মালিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

Posted on December 5, 2023

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালিক বাংলাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসার অন্যতম পথিকৃৎ। মরহুম মালিক একাধারে একজন সফল চিকিৎসক, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক।
মানব হিতৈষী কর্মকান্ডের জন্য তিনি নানাভাবে পুরষ্কৃত এবং প্রশংসিত হয়েছেন।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী ডা.আব্দুল মালিক-এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. এ মালিক। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।

আব্দুল মালিক ১ ডিসেম্বর ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম ফুরকান আলী, মায়ের নাম মরহুমা সৈয়দা নুরুন্নেছা খাতুন। প্রাইমারি স্কুল শেষে ১৯৩৯ সালে সিলেট সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে মেট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং সরকারি বৃত্তি পান।

মেট্রিক পাসের পর সিলেট সরকারি এমসি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে আইএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানে কেবল একটাই বোর্ড ছিল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই পরীক্ষায় তিনি ১১তম স্থান অর্জন করেন।

আইএসসি পাসের পর ১৯৪৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে নভেম্বর মাসে মেডিকেল কলেজের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।

১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন।

১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিলেতে পাঠায় উচ্চশিক্ষার জন্য। ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।