আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৮১ বছরে পা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার (২০ নভেম্বর) হোয়াইট হাউজে থ্যাংকসগিভিং উপলক্ষে টার্কি অবমুক্ত করে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেছেন তিনি। নিজেকে এখনো যুবক মনে করা এ ডেমোক্র্যাট নেতা ২০২৪ সালের নির্বাচনেও প্রার্থী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে জরিপ বলছে, বাইডেনের পুনর্নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে তার বয়সই।
এখনই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি যদি দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন এবং চার বছরের পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করেন, তাহলে হোয়াইট হাউজ ছাড়ার সময় তার বয়স হবে ৮৬ বছর।
বর্তমানে এই রেকর্ডের মালিক রোনাল্ড রেগান। ১৯৮৯ সালে তিনি যখন ক্ষমতা ছাড়েন, তখন তার বয়স ছিল ৭৭ বছর। অর্থাৎ, দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করলে রেগানের চেয়ে আরও নয় বছর বেশি বয়সে হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করবেন বাইডেন।
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার জনসম্মুখে সিঁড়িতে হোঁচট, পা পিছলে পড়ে যাওয়া কিংবা কথা জড়িয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছেন জো বাইডেন। এ নিয়ে কখনো কখনো মজাও করেছেন তিনি।
কিন্তু একের পর এক জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টের বয়স নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
নির্বাচনে বাইডেনের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্তমান বয়স ৭৭ বছর। তিনিও বিভিন্ন সময়ে ভুলভাল কথা বলে আলোচনায় এসেছেন। কিন্তু জরিপ বলছে, বাইডেনের তুলনায় ট্রাম্পের বয়স নিয়ে মার্কিন ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ খুবই কম।
মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক ডেভিড করোলের মতে, বাইডেন হয়তো খুব বেশি ভুল করছেন না। কিন্তু তার বয়স নিয়ে মানুষের ভাবনা পরিবর্তনে হিমশিম খাচ্ছেন।
সম্প্রতি এবিসি/ওয়াশিংটন পোস্টের এক জরিপে দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশ মানুষ বলেছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য বাইডেনের বয়স খুব বেশি। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এর হার ৫০ শতাংশ।
ইয়াহু/ইউগভের জরিপে ৫৪ শতাংশ মার্কিনি বলেছেন, বাইডেনের আর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা নেই। ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে এমন মত দেওয়া ভোটারদের হার ছিল ৪১ শতাংশ। সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি