মানিকগঞ্জে জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা!

Posted on November 4, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক: জমি সংক্রান্ত বিরোধে পুলিশকে পক্ষে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মনির হোসেন নামের এক আইনজীবীর সহকারী। অভিযোগ উঠেছে- তিনি মানিকগঞ্জের দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চর মাধবপুর গ্রামে।

জানা গেছে, মৃত মালেক সরদারের ছেলে মনির হোসেন (৪১) গত ২ নভেম্বর মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক দোলন বিশ্বাসের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। তবে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত আদালত এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চর মাধবপুর গ্রামের আমজাদ খানের ছেলে রবিউল ইসলাম ও মনির হোসেনের শ্বাশুড়ি রহিমার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি বর্তমানে দেওয়ানী আদালতে বিচারাধীন এবং সংশ্লিষ্ট আদালত ওই জমির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে গত ২ জুলাই রহিমা লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমি দখলের চেষ্টা চালান এবং রবিউলের দোকানের সামনে বালু ফেলে রাস্তাও বন্ধ করে দেন। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে থানার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

পরবর্তীতে রবিউলের স্ত্রী শারমিন সুলতানা চাঁদনী বাদী হয়ে মনির ও তার শ্বাশুড়িসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের তদন্তভার পান শান্তিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আরবীকুল ইসলাম। তদন্তে বিষয়টি জমি সংক্রান্ত বিরোধ হিসেবে উল্লেখ করে উভয় পক্ষকে আদালতের মাধ্যমে সমাধানের পরামর্শ দেন তিনি।

এরপর স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা সালিশ হলেও সমঝোতা না হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুনের কার্যালয়ে বৈঠক হয়। সেখান থেকেও আদালতের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এতে অসন্তুষ্ট হয়ে রহিমার জামাই মনির হোসেন সিংগাইর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দায়ের করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মনির হোসেন বলেন, “আমাদের কাছে ঘটনার প্রমাণস্বরূপ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে। আদালত এখনো কোনো আদেশ দেয়নি।”

অন্যদিকে সিংগাইর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বলেন, “যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে, তেমন কিছুই ঘটেনি। থানায় প্রাপ্ত অভিযোগের যথাযথ তদন্তই আমরা করি। এটি সরকারি কর্মকর্তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।”