ইসি'র অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তাদের বদলি-নিয়োগ নয়: ইসি সচিব

Posted on November 16, 2023

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে বদলি বা নিয়োগ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ইসি সচিব বলেন, তফসিল ঘোষণার পর আজ থেকে বদলি ও নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে থেকে ইসির অনুমতি নিতে হবে। আরপিওতে সুস্পষ্ট বলা আছে নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারের কোন কোন বিষয়গুলো পূর্ব অনুমোদন করতে হবে। সেখানে বলা আছে- জেলা প্রশাসক, ডিএমপি কমিশনার ও তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং আরপিও -এর ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের কাজে সহায়তা দেওয়া নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য। কোনও কর্মকর্তা দায়িত্ব পাওয়ার পরে তাকে অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি ইসির অধীনে প্রেষণে আছেন বলে গণ্য হবে।

এছাড়া আরপিও -এর ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি না করার বিধান রয়েছে।

মো. জাহাংগীর আলম জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে। আর নির্বাচনের তিন-চারদিন আগে জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে। তবে ভোটের মাঠে ব্যালট পেপার কখন যাবে এ বিষয়টি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান ইসি সচিব।

সচিব আরো বলেন, প্রার্থীতা চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে ২১ দিন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার জন্য সময় দেওয়া হয়ে থাকে। ভোট গ্রহণ শুরুর আগের ৪৮ ঘন্টা কোন প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারে না।

এক প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী কেউ কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে নির্ধারিত সময়ের সীমা পার হওয়ার আগে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের কোন জনপ্রতিনিধি কার কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবে তা সংশ্লিষ্ট আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। আর প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যালট পেপার ছাপানো হয়ে থাকে।

এ সময় নির্বাচনী বিধি মোতাবেক মন্ত্রী-এমপিরা আগের মতো কাজ করতে পারবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে, ইসি সচিব স্পষ্টভাবে কোনো জবাব দেননি।

এর আগে, বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত।

আরও পড়ুন:

জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পূর্ণ ভাষণ

জাতিসংঘে সর্বসম্মতিতে রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রস্তাব গৃহীত