![]() |

বিনোদন ডেস্ক: দেশের ফ্যাশন ও মডেলিং জগতের রাজপুত্র আদিল হোসেন নোবেল। কেবল মডেলিং নয়, অভিনয় জগতেও স্বল্প পরিসরে রেখেছেন প্রতিভার ছাপ।
সম্প্রতি দেশের বেসরকারি একটি টেলিভিশনের ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’ নামে এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে তিনি তার সমসাময়িক, প্রয়াত সুপারস্টার সালমান শাহ এবং তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ নিয়ে অকপটে কথা বলেছেন।
জানা যায়, ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া কালজয়ী সিনেমা 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' চলচ্চিত্র দিয়ে বাংলা সিনেমায় ঝড় তুলেছিলেন সালমান শাহ ও মৌসুমী জুটি। এই ছবিটির মাধ্যমেই তাদের অভিষেক হয়। তবে অনেকেরই অজানা, এই সিনেমাটিতে প্রথমে নোবেলের অভিনয় করার কথা ছিল।
উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, আপনার সমসাময়িক সালমান শাহের কথাই যদি আমি ধরি। তার প্রথম চলচ্চিত্র 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' তো আপনারই করবার কথা ছিল। যখন দেখলেন যে তিনি সফল হয়েছেন, তখন কি আপনার একটুও হলেও আফসোস হয়নি?
মডেল ও অভিনেতা আদিল হোসেন নোবেল বলেন, ‘আমার উল্টাটা লেগেছে। যখন ইমন (সালমান শাহ) করলো, সিনেমাটা এত সুন্দর, আমি তো হলে গিয়ে সিনেমাটা দেখলাম। আমার কাছে এত সুন্দর লেগেছে, আমার কাছে মনে হয়েছে, "মাই গড! আমি করিনি, বেঁচে গেছি ভাই। আমারটা কোনোদিন এত সুন্দর হতো না।’
নোবেলের ভাষ্য, ‘ইমন, মৌসুমী, ওরা এত সুন্দর করে (করেছে)। ফার্স্ট অফ অল কাজটা এত ভালো লেগেছিল একটা জিনিস ছিল, আর দুজনের অ্যাক্টিং অ্যান্ড ওভারঅল পুরো মুভিটা… আমি করলে এই মুভিটা নষ্ট হয়ে যেত, আমার কাছে এটা মনে হয়েছে।’
চিত্রনায়িকা মৌসুমীর এখনও আক্ষেপ রয়েছে যে তিনি নোবেলের সঙ্গে একটিও সিনেমায় কাজ করতে পারেননি। উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে নোবেল হেসে বলেন, ‘মৌসুমী, ইটস টু লেইট। ইনশাআল্লাহ পরের বার, পরের জনমে যদি তুমি থাকো, আমি আসি।’
সেখানে এই তারকা আরো বলেন, ছোটবেলা থেকেই কড়া শাসনের মধ্যে তাকে বড় হতে হয়েছে। খেলাধুলা পাগল নোবেলকে ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে বরাবরই নিরুৎসাহ করতেন তার মা। কারণ দিনব্যাপী খেলার পেছনে সময় বের করতে গিয়ে পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে। শুধু খেলাধুলাই নয়, প্রথমবার মডেলিং করার ঠিক আগের দিন আপত্তি জানিয়েছিলেন মা।
তবে মনের ভেতর সে সময় নোবেল শপথ করেছিলেন, একদিন মায়ের দুশ্চিন্তা তিনি দূর করবেনই। পরবর্তীতে তিনি কথা রেখেছেন। তারকাখ্যাতি পেয়েও নোবেল নিজের ব্যক্তিত্ব, সততা ধরে রেখেছেন আজ পর্যন্ত।
নোবেল বলেন, ‘কোনো কিছু পেয়ে গেলে ছন্নছাড়া হয়ে যাওয়ার কিছু নেই। নিজের সেলফ কন্ট্রোল মেকানিজম ঠিক থাকলে সব কিছুই সহজ।’
শুরু থেকেই ভীষণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নোবেল আরো বলেন, তার ক্যারিয়ারের প্রথম টিভিসি এখনো অনএয়ার হয়নি। সে সময় তিনটি কোমল পানীয়র বিজ্ঞাপনচিত্র করেছিলেন মডেল ইমরান (কোকাকোলা), সালমান শাহ (ফান্টা) ও নোবেল (স্প্রাইট)। তবে টেকনিক্যাল কারণে শুধু সালমান শাহের বিজ্ঞাপনচিত্রটিই প্রচারিত হয়েছিল।
নোবেল নিজেও চেয়েছিলেন, তার করা প্রথম টিভিসি যেন অনএয়ার না হয়। নিজেকে পর্দায় দেখে, সেই কাজটির মান নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। সে সময়ই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ভালো-মন্দের তফাৎ। পরবর্তীতে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় একটি চায়ের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন এবং তুমুল জনপ্রিয় হন। ৩৪ বছর ধরে শীর্ষ পুরুষ মডেলের খেতাবটাও তিনি ধরে রেখেছেন। বাংলাদেশের প্রথম প্যাকেজ নাটক ‘প্রাচীর পেরিয়ে’র নায়কও তিনি। এরকম অনেক বলা-না বলা কথা নোবেল বলেছেন ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’-তে।
আরও পড়ুন:
অরিজিতের সঙ্গে মনোমালিন্য! ভুল স্বীকার করলেন সালমান
সালমান শাহর মৃত্যু: রিভিশন মামলার শুনানি শেষ, আদেশ ২০ অক্টোবর
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
| ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা নিয়ে যা বললেন নোবেল https://corporatesangbad.com/523966/ |