এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২৫ উদযাপন

Posted on September 29, 2025

কর্পোরেট ডেস্ক: বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম নানা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৫ উদযাপন করেছে। দিবসটিকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় পেশেন্ট ফোরাম, সচেতনতামূলক আলোচনা এবং সাইকেল র‌্যালি। এবারের বিশ্ব হার্ট ডে-এর প্রতিপাদ্য ছিলো ‘ডোন্ট মিস অ্যা বিট’। এ উদ্যোগের মাধ্যমে হৃদ্‌যন্ত্রের প্রতিটি ধাপের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, একই সঙ্গে হৃদ্‌রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সবার জন্য ন্যায্য ও সমান স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ক্যাথল্যাব মোট ৪ হাজার ৬০০টি চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ৯২০টি করোনারি এনজিওগ্রাম (সিএজি) এবং ১ হাজার ৩৫৮টি পিটিসিএ (পিটিসিএ) প্রক্রিয়া। এছাড়া হাসপাতালটির ক্যাথল্যাবে রয়েছে হৃদরোগে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি, যেমন আইভিইউএস (আইভিইউএস), অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, টিপিএম, এফএফআর এবং সিআরটি-ডি। এসব সুবিধা প্রমাণ করে যে হাসপাতালটি রোগীদের বিশ্বমানের হৃদরোগ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের কার্ডিওলজি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সিনিয়র কন্সালটেন্ট প্রফেসর ডা. শেখ মো: হাসান মামুন; সিনিয়র কন্সালটেন্ট ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াস; সিনিয়র কন্সালটেন্ট ডা. মো: তারিক বিন আবদুর রশিদ; অ্যাটেন্ডিং কন্সালটেন্ট ডা. সমীর কুমার পাল; অ্যাটেন্ডিং কন্সালটেন্ট ডা. রাকিব চৌধুরী; কার্ডিওথোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কন্সালটেন্ট ও কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ বিন মঈন; অ্যাটেন্ডিং কন্সালটেন্ট ডা. মো: মঞ্জুর হোসেন সহ আরও অনেকে। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের সিওও সমীর সিং এবং মেডিকেল সার্ভিসেস ডিরেক্টর ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির।

কার্ডিওলজি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সিনিয়র কন্সালটেন্ট প্রফেসর ডা. শেখ মো: হাসান মামুন বলেন, “ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান পরিহার, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও শারীরিক পরিশ্রম — এই চারটি অভ্যাস অধিকাংশ ক্ষেত্রে হৃদরোগ প্রতিরোধে বিশেষ সহায়ক। তাই আজ থেকে অভ্যাস পরিবর্তন শুরু করলে আগামীকাল সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা সম্ভব।”

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াস বলেন, “বাংলাদেশে হৃদ্‌রোগ এখনও বড় একটি স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ হলেও এর অধিকাংশ ক্ষেত্রই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর মতো অভ্যাস গড়ে তুললে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো এবং হৃদ্‌যন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য হলো সময়মতো চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং সামান্যতম উপসর্গকেও অবহেলা না করার জন্য সবাইকে সচেতন করা।”

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. তারিক বিন আব্দুর রশিদ বলেন, “প্রতিটি হৃদস্পন্দনই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজের সবার জন্য হৃদ্‌যন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখা আমাদের দায়িত্ব। সচেতনতা ও সঠিক পদক্ষেপ নিলে আমরা এমন এক ভবিষ্যৎ গড়তে পারব, যেখানে সবার জন্য হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা সহজলভ্য হবে এবং অকাল মৃত্যু কমে আসবে।”

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের কার্ডিওথোরাসিক ও ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আসিফ আহমেদ বিন মঈন বলেন, “প্রতিটি হৃদস্পন্দনই মূল্যবান। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির মতো চিকিৎসা অনেক রোগীকে সুস্থ হতে সাহায্য করে, তবে সতর্ক থাকা এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবস্থা নিলে জটিলতা এড়ানো এবং দীর্ঘমেয়াদে হৃদ্‌স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব।”

পেশেন্ট ফোরাম শেষে শুরু হয় সাইকেল র‍্যালি, যেখানে বিভিন্ন বয়সী মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল হৃদরোগ প্রতিরোধে শারীরিক পরিশ্রমের গুরুত্ব তুলে ধরা।