ব্যালন ডি'অর জিতলেন উসমান দেম্বেলে

Posted on September 23, 2025

স্পোর্টস ডেসক্ : ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ডি’অর জিতলেন পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড ২৮ বছর বয়সী উসমান দেম্বেলে। বার্সেলোনার লামিন ইয়ামালকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন দেম্বেলে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে প্যারিসের ঐতিহাসিক থিয়াত্র দ্যু শাতলেতে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যালন ডি'অরের ৬৯তম আসর। ২৮ বছর বয়সী দেম্বেলের হাতে ট্রফি তুলে দেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনিয়ো।

ফ্রান্সের ষষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি অর জিতলেন দেম্বেলে। তবে গত ত্রিশ বছরের মধ্যে তার আগে স্বদেশি জিনেদিন জিদান ও করিম বেনজেমার হাতে উঠেছিল সম্মানজনক এই পুরস্কার।

নারী ফুটবলে টানা তিনবার ব্যালন ডি অর জিতে অবিশ্বাস্য কীর্তির জন্ম দিয়েছেন বার্সেলোনা ও স্পেনের তারকা আইতানা বনমাতি। সব মিলিয়ে তিনবার ব্যালন জেতা প্রথম নারী ফুটবলারও তিনি। দুবার এই স্বীকৃতি পেয়েছেন বার্সেলোনার আরেক তারকা অ্যালেক্সিস পুতিয়াস।

পিএসজি নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা মৌসুম কাটিয়েছে গতবার। ঘরোয়া সব শিরোপা তুলেছে নিজেদের ক্যাবিনেটে। লুইস এনরিকের অধীনে প্রথমবারের মতো জেতে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। ক্লাব বিশ্বকাপে হয়েছে রানার্সআপ।

ক্লাবের এত সব অর্জন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দেম্বেলে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে দেম্বেলে ৩৫ গোলের পাশাপাশি সহায়তা করেন ১৬ গোলে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৪ গোলে অবদান রাখেন দেম্বেলে। এক হ্যাটট্রিকসহ নিজে করেন ৮ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করান ৬ গোল। পুরো মৌসুমে ৪৮টি গোলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন দেম্বেলে।

ব্যালন ডি অরের তালিকায় দেম্বেলের পরেই এবার ইয়ামাল। গত মৌসুমে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার লা লিগা, কোপা দেল রে ও সুপার কাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল ও ২৫টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি।

এছাড়া, টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়েদের ব্যালন দ’র জিতেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানো বনমাতি। প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে তিনবার বর্ষসেরার এই পুরস্কার জিতলেন তিনি। ছাড়িয়ে গেলেন দুইবার জেতা বার্সেলোনা ও স্পেনের আরেক ফুটবলার আলেক্সিয়া পুতেয়াসকে।

প্রসঙ্গত, ব্যালন ডি’অর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মে পরিবর্তন আনা হয় ২০২২ সালে। আগে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে পুরো বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হলেও, এখন বিবেচনায় ধরা হয় ইউরোপিয়ান ফুটবলের একটি মৌসুমকে (আগস্ট থেকে জুলাই)। সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হন বিজয়ী।