৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

Posted on September 15, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। কর্মসূচির আওতায় আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল ছাড়াও ১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও এর অর্জন ব্যর্থ হবে। এছাড়া এর ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন আয়োজন না করা হলে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে।

জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, শুরু থেকেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ এসব দাবি জানিয়ে আসলেও সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। তাই দাবি আদায়ে গণআন্দোলনের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

৫ দফা দাবিগুলো হলো-

১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে।

৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম ও গণহত্যা এবং দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।

৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য দেশের সব জনগণকে অনুরোধ জানিয়েছেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

এ সময় ইসির সমালোচনা করে তিনি বলেন, একতরফাভাবে ইসির রোডম্যাপ ঘোষণা করা অন্যায়। কালো টাকার ব্যবহার, পেশিশক্তিসহ নির্বাচনী অনিয়ম বন্ধে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। 

জামায়াতের এই নেতা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, মানুষের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, তাই গণআন্দোলনের বিকল্প নেই। ফেব্রুয়ারির আগে আরো ৫ মাস আছে, এর মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ সম্ভব।

আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না, একথা কখনও বলছি না। বরং আমরা বলছি, আমাদের দাবি মেনে নির্বাচন আয়োজনের জন্য।

সংবাদ সম্মেলনে মামুনুল হক বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো জুলাই সনদকেও কাগুজে ও অকার্যকর করে ফেলা যাবে না। এ সময় দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপি, নেজামী ইসলামী পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।