ফরিদপুরে রাস্তা অবরোধকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Posted on September 14, 2025

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ফরিদপুরের সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে যারা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিকেলের মধ্যে অবরোধ তুলে নেয়া না হলে, বল প্রয়োগের মাধ্যমে তাদেরকে সরিয়ে দেয়া হবে।
 
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এটা নিয়ে আসলেই যদি তাদের ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা যথাযথ চ্যানেলে জানানো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই দুটি ইউনিয়নে কতজন লোক আর কতজন ভোটার? অথচ, তারা লাখ লাখ লোককে জিম্মি করে রাখছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে এটা সমাধান না করে, তাহলে আমরা আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হব।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফরিদপুরের এই দুই ইউনিয়নের কারণে বিভিন্ন জেলার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ফরিদপুরে দুটি ইউনিয়ন আগে যে সংসদীয় আসনে ছিল, সেখান থেকে অন্য আসনে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটা নির্বাচন কমিশন করেছে। যুক্তি-তর্কের সবকিছু শোনার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

কোর কমিটির সভায় পূজা এবং ফরিদপুরের দুটি ইউনিয়ন নিয়ে যে সমস্যা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু-একটি নির্বাচন হয়ে গেল, এসব বিষয়েও একটু আলোচনা হয়েছে। পুলিশের প্রশিক্ষণ এবং আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছিনতাই, চুরি-ডাকাতিসহ সীমান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিলো। এটা নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন ছিলো না। জাতীয় নির্বাচনের যথেষ্ট সময় রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে নিয়োগ, প্রশিক্ষণসহ নানা কার্যক্রম চলছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দীদের সাজা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এতে বয়স্করা গুরুত্ব পাবে। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ২০ বছর সাজা ভোগ করাদের মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, কারাগারে অনেক সমস্যা আছে, এটা সংস্কারেরও দরকার। কারাতে বাজেটের ক্ষেত্রে একটু সমস্যা। বন্দিদের মধ্যে যাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তাদের ওষুধের জন্য বাজেটেরও বেশি দরকার হয়। আমরা চাচ্ছিলাম লাইফটাইম তো ৩০ বছর, সেটা কমিয়ে কত করা যায়, যুক্তিযুক্ত একটা করে, যারা বয়স্ক হয়ে গেছে তাদের যাতে ছাড়ার ব্যবস্থা করা যায়।

বয়সটা কত নির্ধারণ করা হবে, এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করিনি। আলোচনার ভিত্তিতে মেয়েদের ক্ষেত্রে হয়তো ২০ বছর করে দিতে চাচ্ছি। ছেলেদের ক্ষেত্রে হয়তো আরও একটু বেশি হতে পারে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, আবার কতগুলো স্পেসিফিক আছে, তার বয়সটা কত। যে ১৮ বছরে অপকর্ম করেছে, ২০ বছর পর তাকে ছেড়ে দিলে তখন তো তার বয়স ৩৮ বছর হয়। সে হয়তো এসে আবার অপকর্ম করতে পারে। এ বিষয়গুলো দেখা হবে, তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে আমরা একটু বেশি লিবারেল।