সিলেটের ডিসি হলেন আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম

Posted on August 18, 2025

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: সিলেটে নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আলোচিত কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম।

সোমবার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা সারওয়ার আলমকে সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি ও পদায়ন করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুর্নীতি ও ভেজালবিরোধী অভিযান দেশের মানুষের কাছে ব্যাপক আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছিল।

গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকা এ সরকারি কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। তিনবার বঞ্চিত হওয়ার পর তিনি এ পদোন্নতি পান। বর্তমানে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে উপসচিব (সংযুক্ত) হিসেবে কর্মরত।

প্রসঙ্গত, র‌্যাবে দায়িত্ব পালনকালে তিন শতাধিক ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে ব্যাপক প্রশংসিত হন মো. সারোয়ার আলম। তবে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে গত সরকারের আমলে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। ফেসবুকে লিখেছিলেন, চাকরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশিরভাগই চাকরি জীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন এবং এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটাই অন্যায়।

এই ফেসবুক পোস্টকে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে লঘুদণ্ড হিসেবে তিরস্কার করা হয়।

বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চালিয়ে আলোচনায় আসেন সারোয়ার আলম। করোনা মহামারির মধ্যে কয়েকটি হাসপাতালে ভুয়া করোনা টেস্টের বিরুদ্ধে অভিযান করেও প্রশংসা পান। সর্বশেষ সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন এই নির্বাহী হাকিম। ওই বাসা থেকে মাদক, অস্ত্র-গুলি ও অবৈধ ওয়াকিটকি উদ্ধারের পর তিনি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় বাড়ির পাশের ইসমাইল মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ১৯৯৩ সালে পাকুন্দিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় (বর্তমান পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়) থেকে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পেয়ে ভর্তি হয় কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজে।

১৯৯৫ সালে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে ২০০৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর পাস করেন তিনি। সারওয়ার আলম ২০০৮ সালে ২৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে যোগ দেন প্রশাসনে।

মো. সারওয়ার আলম ২০০৯ সালে চট্টগ্রামের মেয়ে সানজিদা শারমিন লিন্ডার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের চারটি মেয়ে রয়েছে। যাদের নাম মাহরিন সামারা, নাজিফা সাফরিন, তানহা ও মানহা।

আরও পড়ুন:

মৎস্যসম্পদ রক্ষায় দেশবাসীকে পরিবেশের প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

সাভারকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা, বন্ধ হচ্ছে সব ইটভাটা

সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ পুলিশের ১৮ কর্মকর্তা বরখাস্ত