গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় মোট গ্রেফতার ৭

Posted on August 9, 2025

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে তাদের গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার রবিউল হাসান বলেন, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন-ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী বেগম, স্বাধীন, আল আমিন ও সুমন। ফয়সালসহ তিনজনকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে, আল আমিনকে রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে এবং স্বাধীনকে হোতাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরে মামলার অন্য দুই আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের চান্দনা এলাকার মাহবুব স্কুল মোড়ে রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়ি থেকে মো. ফয়সাল হাসান (২৩) ও ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়া থেকে মো. শাহ জালালকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
 
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া সবাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পে অবস্থিত সিপিএসসিতে (CPSC) ব্রিফ করবেন র‍্যাব-১-এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ. মামুন খান চিশতী।

নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তুহিন পরিবার নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস করতেন।

এর আগে, শুক্রবার সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় বাসন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় শাপলা ম্যানশনের সামনে এক নারীকে মারধর করে বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি। এ সময় কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে আঘাত করে। এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন তুহিন। বিষয়টি টের পেয়ে হামলাকারীরা তুহিনকে ভিডিও ডিলিট করতে বলে। তখন তুহিন নিজের পরিচয় দিয়ে ভিডিও ডিলিট করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে পাশের একটি মার্কেটের সামনে তুহিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তারা।