ফের ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের ঘোষণা বিএনপির

Posted on November 9, 2023

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চতুর্থ দফায় ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আগামী রোববার (১২ নভেম্বর) ও সোমবার (১৩ নভেম্বর) সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে দলটির নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, রোববার (১২ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত চতুর্থ দফায় টানা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ পালন করবে দলটি।

এক দফার চলমান আন্দোলনে এ নিয়ে চতুর্থ দফায় অবরোধের ডাক দিল বিএনপি। প্রথম দফায় তিন দিন এবং পরের দুই দফায় ৪৮ ঘণ্টার এই কর্মসূচি ডাকে বিএনপি। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় দফার অবরোধ শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার।

এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকেও অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে।

দলটির সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর সারাদেশে অবরোধের ডাক দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে। ন্যায় বিচার ও মানবাধিকারকে নির্বাসিত করেছে। দেশের অর্থনীতিকে ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে। বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, গায়েবি মামলা হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। টাকা পাচার অব্যাহত রয়েছে ও দুর্নীতির উচ্চ শিখরে পৌঁছেছে। বিএনপির সব প্রবীণ নেতাদের জেলে আটকিয়ে রেখেছে। অনেকের মিথ্যা মামলায় সাজাও দিয়েছে। এর প্রধান কারণ, এই সব বিরোধী দলের নেতারা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত। জনগণের মানবাধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, ন্যায় বিচারের অধিকার এবং সর্বোপরি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করছে। মানুষকে এই অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে চেষ্টা করছে। এটাই তাদের একমাত্র অপরাধ। তারা ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির জন্য, দেশকে প্রকৃত অর্থে স্বেচ্ছাচারমুক্ত করার একটা উদ্যোগ নিয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলছিল। সমাবেশ চলাকালে এক পর্যায়ে দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে দলটি। হরতাল শেষে একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। যা শেষ হয় গত ২ নভেম্বর। এরপর বিরতি দিয়ে দিয়ে তিন দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।