নিজস্ব প্রতিবেদক : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে মা, ছেলে ও মেয়েসহ তিনজনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে নিহত রুবি বেগমের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বাঙ্গরাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “ঘটনার পর বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে এ মামলার আসামি মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহকে। এছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও প্রতিবেশীরা।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আদিল শাহরিয়ারের নেতৃত্বে আকবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে নিহত তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে গ্রামে মরদেহ আনার পর কবর খোঁড়া ও জানাজা পড়ানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় মরদেহ তিনটি দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে এলাকাবাসী একটি মোবাইল ফোন চুরি ও মাদক ‘ব্যবসার’ অভিযোগ তুলে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (৩২)। ওই সময় হামলায় আহত হন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৫)। তিনি বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
