শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনায় প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিকসহ পরিবারের তিন সদস্য গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতরা হলেন-সোলায়মান আলী (৫৫), তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন (৫০) এবং তাদের ছেলে জামায়াতে ইসলামীর শেরপুর উপজেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি শাহিন আলম (৩২)।
গত রবিবার (২২ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে আম্বইল বেলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই রাতের খাওয়া-দাওয়ার পর বাড়ির সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে শাহিন আলম মোবাইলে কথা বলতে বাইরে বের হলে এই সুযোগে ৪ জনের একটি দল ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়লে প্রথমে মাজেদা খাতুনের চোখ বেঁধে ফেলা হয়। তিনি চিৎকার করলে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়। এ সময় ঘুমন্ত সোলায়মান আলী ও শাহিন আলমকে অজ্ঞান করে ফেলে তারা। পরবর্তীতে তারা ঘর তছনছ করে প্রায় চার ভরি স্বর্ণালংকার, ধান বিক্রির চার লক্ষ টাকাসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। গৃহবধূ মাজেদা খাতুন জানান, রাত আনুমানিক ২টার দিকে তারা ফোন করে বলে, বটতলা থেকে সিএনজি নিয়ে আসো, আমাদের অপারেশন সফল হয়েছে।
এ ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার বর্তমানে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
শেরপুর থানার ওসি এসএম মুঈনদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে শেরপুর থানা পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে, দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।