ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত সরিয়ে নিলো তুরস্ক

Posted on November 5, 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রাখায় ইসরায়েলের উপর মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রে জন্মানো ক্ষোভ ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরায়েল থেকে কূটনীতিক প্রত্যাহারসহ সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কয়েকটি দেশ। এবার ইসরায়েলে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলো তুরস্ক।

এর আগে গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধ নিয়ে তুরস্কের একের পর এক উত্তপ্ত বক্তব্যের জেরে আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে জানায় তেল আবিব। তাছাড়া নিরাপত্তা সতর্কতা হিসেবে তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকে সব কূটনীতিকদের প্রত্যাহারও করে নিয়েছিল ইসরায়েল।

শনিবার (৪ নভেম্বর) তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হওয়ায় ও গাজার বেসামরিকদের উপর হামলা চালিয়ে যাওয়ায় ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করারও ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রদূত ওজকান তোরোনলারকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করতে আঙ্কারায় যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। তার আগ মুহূর্তেই ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিলো এরদোয়ান প্রশাসন।

এর আগে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) কাজাখস্তান সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এরদোয়ান বলেছিলেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ হলে গাজাকে অবশ্যই স্বাধীন ফিলিস্তিনের অংশ হতে হবে। ইতিহাস থেকে ফিলিস্তিনিদের মুছে ফেলার মডেলকে ‍তুরস্ক কখনোই সমর্থন দেবে না।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিজের ‘সহকর্মী’ হিসেবে বিবেচনা করবো না। তাকে আমরা বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছি। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো সিদ্ধান্ত এখন নেবে না তুরস্ক। আন্তর্জাতিক কূটনীতি বিবেচনায় সম্পূর্ণভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করা সম্ভব নয়।

এরদোয়ানের দাবি, যুদ্ধের প্রাথমিক দায় নেতানিয়াহুকেই বহন করতে হবে। ইসরায়েলকে এখন ‘যুদ্ধাপরাধী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’ হিসেবে জবাবদিহিতার আওতায় না আনা হলে বৈশ্বিক ব্যবস্থার ওপর আর কোনো আস্থা থাকবে না। সূত্র: ডেইলি সাবাহ