নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জের সিংগাইরে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৮) নামের এক এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে সিংগাইর থানা পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। আব্দুল্লাহ আল মামুন দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে। সে সিংগাইর বাজারস্থ ‘জনসেবা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি নামের একটি এনজিওতে‘ কর্মরত ছিলেন।
৮ মে ( বৃহস্পতিবার) বেলা ১১ টার দিকে পৌর এলাকার আঙ্গারিয়া মহল্লার তিনতলা ভাড়া বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভাড়া বাড়ির মালিক আবুল বাশারের স্ত্রী বলেন, মামুন বাজারের ‘জনসেবা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতিতে ‘ দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করে আসছে। প্রায় ১ মাস আগে আমাদের বাড়ির তিনতলার একটি ছোট রুম ভাড়ানিয়া একা বসবাস শুরু করে। আজ সকাল ১০ টার দিকে তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার আমার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বলে তার স্বামী মামুন তার মোবাইল রিসিভ করছে না । মামুন আজকে অফিসেও যায়নি। রুমে একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন। পরে আমি তার রুমে গিয়ে দেখি তার রুম ভীতর থেকে লক করা। পরে আমি সিংগাইর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ভীতরে প্রবেশ করে দেখে সিলিং ফ্যানের সাথে সবুজ রংয়ের ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। পরে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিবারের দাবী – মানুন প্রায় ৬ বছর আগে তানিয়াকে বিবাহ করে। বিয়ের পর তার স্ত্রী মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নাসিং লেখাপড়া করে । মামুন একটি এনজিওতে চাকরি করতো। বিয়ের পর থেকে তানিয়া নিজের মতো করে চলাফেরা করে। এই নিয়ে তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সে। এসব বিষয়ে অভিমান করেই আত্মহত্যা করেছে মামুন।
এ বিষয়ে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে.ও.এম তৌফিক আজম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।