বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান কমছে

Posted on November 2, 2023

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ছে ব্যাপকহারে। একইসঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতেও টাকার মান কমছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইউরো, চীনা ইউয়ান, ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং ও ভারতীয় রুপির দাম বেড়েছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) আন্তঃব্যাংকে টাকার বিপরীতে প্রতি ডলারের দর ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, যা গত বছরের একইসময়ে ছিল ১০৪ টাকা ৩৪ পয়সা। এদিন ইউরোর দর ছিল ১১৬ টাকা৭৬ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১০৫ টাকা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার বিপরীতে বিদেশি মুদ্রাগুলোর দাম বেড়েই চলেছে। দেশে মূলস্ফীতি এখন অনেক বেশি। পাশাপাশি ঋণের সুদহার অনেক কম। এর ফলে টাকার মান ধারবাহিকভাবে দুর্বল হচ্ছে। বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে টাকা শক্তিশালী করতে হলে মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে।

এদিন পাউন্ড স্টার্লিংয়ের লেনদেন হয়েছে ১৩৩ টাকা ৯৮ পয়সায়। আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২১ টাকা। সিঙ্গাপুর ডলারের লেনদেন হয়েছে ৮০ টাকা ৬১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে মুদ্রাটির লেনদেন হয়েছিলো ৭৩ টাকা ৯৪ পয়সা।

এছাড়া আজ অস্ট্রেলিয়ান ডলার লেনদেন হয়েছে ৬৯ টাকা ৯৯ পয়সায়, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৭ টাকা। গত বছর অক্টোবর শেষে ইন্ডিয়ান এক রুপি কিনতে ব্যয় করতে হতো ১ টাকা ২২ পয়সা। আজ এ মুদ্রাটির লেনদেন হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সায়। ইউয়ান লেনদেন হয়েছে ১৫ টাকায়, আগের বছরের একই সময়ে লেনদেন হয় ১৩ টাকা ৮২ পয়সায়।

অপরদিকে ইয়েন লেনদেন হয়েছে ৭৩ পয়সায়, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৪ পয়সায়। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় জাপানি ইয়েনের দাম সামান্য কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলছেন, দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরশীল। কারণ এখনো প্রায় ৯০ ভাগ বাণিজ্য এই মুদ্রায় সম্পন্ন হয়। আর অন্যান্য বিদেশি মুদ্রার মাধ্যমে বাকি ১০ ভাগ বাণিজ্য হয়। এর ফলে ডলারের প্রভাব বেশি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ও ভারত রুপিতে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য নিষ্পত্তি ব্যবস্থা চালু করে। ভারতের সাথে বাণিজ্যে রুপিতে লেনদেনের জন্য ইসলামি ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক সহ কয়েকটি ব্যাংককে তখন অনুমতি দিয়েছলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আটটি মুদ্রায় বৈদেশিক বাণিজ্য নিষ্পত্তি করতে পারবেন। সেগুলো হলো- মার্কিন ডলার, ইউরো, ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং, সুইস ফ্রাঁ, কানাডিয়ান ডলার, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুর ডলার ও চীনা ইউয়ান।