নিজস্ব প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নে সন্ত্রাসী কায়দায় গাড়াদিয়া বড় বাড়ী শাহী জামে মসজিদ দখলের অভিযোগে শফিউদ্দিন ও শাকিল গংদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে মসজিদ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় মসজিদ আঙিনায় কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুতাওয়াল্লী ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো.জহিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মসজিদটি ১৯৩৮ সালে গাড়াদিয়া বড় বাড়ী শাহী জামে মসজিদ নামে স্থাপিত হয়। বিগত কমিটির সভাপতি কফিলউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন আয় ব্যয়ের কোনো হিসাব না দিয়ে অন্যত্র আরেকটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। ৫ আগষ্ট পরবর্তী শফিউদ্দিন বিএনপির দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগের দোসর আতোয়ারসহ আব্দুল কাদের, আরব আলী, শাকিল উদ্দিনকে নিয়ে ওয়াকফ স্টেটের আইন অমান্য করে একতরফা কমিটি ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে তারা মসজিদের দান বাক্সের টাকা ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরো বলেন, গত ২ মার্চের পর থেকে প্রতি শুক্রবার জুম্মার দিনের উত্তোলিত দানের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা । সেই সাথে মসজিদের গ্লাস ভাংচুরসহ নাম পরিবর্তন করে গাড়াদিয়া দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন। এ ঘটনায় চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ এনে গত ৮ এপ্রিল আদালতে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার -পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুতাওয়াল্লি জহিরুল ইসলাম বলেন, শফিউদ্দিন গং কমিটি স্থানীয় সয়ানী বেওয়ার মসজিদে দান করা ২ শতাংশ জমি অন্যত্র বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন তারা । সেই সঙ্গে ইতালী প্রবাসী আব্দুর রশিদের দেয়া ২০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আক্তার হোসেন, সহসভাপতি জহিরুল কাইয়ুম, দাতা সদস্য মো.ইউনুস, আবুল হোসেন, হানিফ আলী,মেহের আলী ও শামসুদ্দিন প্রমুখ। এ সময় স্হানীয় ইমতিয়াজ আহমেদ, আশ্রব আলী মো.মোস্তফাসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে সিংগাইর উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও পল্লীচিকিৎসক শফিউদ্দিন বলেন, হাসিনা সরকারের আমলে আমাদেরকে বিতাড়িত করে মসজিদের নাম পরিবর্তন করা হয়। পরে আমরা আরেকটি অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণ করে নামাজ আদায় করতাম। ৫ আগস্টের পর আমরা মসজিদটি পুনরায় দখল করে সামাজিক ভাবে কমিটি করে পরিচালনা করছি। টাকা আত্মসাৎ ও জমি বিক্রির কথা অস্বীকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোনো পক্ষ আমাকে জানায়নি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।